তথ্যপ্রযু্ক্তি খাতে চার বছরে ২০ লাখ চাকরির আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:০১ | প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:৫৫

তথ্য প্রযুক্তি খাতে ২০২১ সালের মধ্যে ২০ লাখ তরুণ-তরুণী চাকরি পাবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। আগামী চার বছরের মধ্যে এই চাকরি নিশ্চিত করতে সরকার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। আগামী ৬ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭’ এর বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

পলক বলেন, আইসিটি (তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ) বিভাগ প্রশিক্ষণ এবং ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করবে। এর ফলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে তারা আউটসোর্সিং করতে পারবে।

‘সেজন্য আমাদের কাজ চলছে। সারা বাংলাদেশে আমরা ২৮টি আইটি পার্ক নির্মাণের কাজ করছি এবং সেখানে আগামী তিন বছরে তিন লক্ষ জনকে ট্রেনিং দেব। যার মধ্য দিয়ে ২০২১ সাল নাগাদ ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করব।’

ইতিমধ্যে পাঁচ লাখ তরুণ-তরুণী ফ্রিলান্সিংয়ের কাজ করছে এবং বেসিসের যে কোম্পানিগুলোতে আরও তিন লাখ তরুণ-তরুণী কাজ করছে বলেও জানান পলক। দেশে প্রায় ১০ হাজার ই-কমার্স উদ্যোক্তা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে কর্মসংস্থান একটা বড় ইস্যু। ১৬ কোটি মানুষের দেশে প্রায় ৭০ ভাগ তরুণ। বিপুল শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব।’

‘আমি অনেক সময় দেখি, সবাই সরকারি চাকরি বা বেসরকারি ব্যাংকে চাকরির জন্য ঘুরে। তারা শুধু এসব চাকরির পেছনে ঘুরলে আমরা এ কোটি-কোটি তরুণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারব না। আমরা চাই আমাদের তরুণরা শুধু চাকরি খুঁজবে না, চাকরি দেবে। তারা জব ক্রিয়েটর হবে। তার জন্য আমরা সাপ্লাই চেইন বাংলাদেশে তৈরি করতে চাই।’

২০০৮ সালে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৮ লাখেরও কম ছিল। ৯ বছরের ব্যবধানে এখন ৮ কোটি ছাড়িয়েছে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। প্রতিমন্ত্রী জানান, মোবাইল সংযোগের সংখ্যা ১৪ কোটি ছাড়িয়েছে। সরকার ব্রডব্যান্ড কানেকশন ইউনিয়ন পর্যন্ত নিয়ে যেতে পেরেছে।

‘আমরা আইটিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। যে ২৬ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি নিয়ে আমরা ২০০৮ সালে শুরু করেছিলাম সেটা এখন বেড়ে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের টার্গেট হচ্ছে ২০১৮ সালের মধ্যে বিলিয়ন ডলার অতিক্রম এবং ২০২১ সালের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করা।’

ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/এমএম/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :