জয়পুরহাটের কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে আগাম সবজি

শামীম কাদির, জয়পুরহাট
 | প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:০৫

জয়পুরহাট জেলায় বন্যার কারণে ধান সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগাম জাতের সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে আগাম শীতের সবজি। বাজারদর ভালো থাকায় আগাম সবজি চাষে লাভের মুখ দেখছেন এলাকার কৃষক।

কপি, মুলা শিম থেকে শুরু করে শীতের আগাম সবজিতে ভরে গেছে জয়পুরহাটের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার নতুনহাট। দুইবারের বন্যায় কৃষকের হতাশার ছাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে এ আগাম জাতের শীতের সবজি। ভালো মূল্য পাওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। আরও কিছুদিন এমন মূল্য পাওয়ার প্রত্যাশা তাদের।

স্থানীয় কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ২০১৭-১৮ ফসল চাষ মৌসুমের আওতায় জেলায় সবজি চাষে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে শাক সবজি ছয় হাজার ৪০ হেক্টর, ইতিমধ্যে অর্জিত হয়েছে দুই হাজার ২৬৫ হেক্টর। এছাড়া বেগুন ৬৮৭ হেক্টর, মরিচ ৪৩২ হেক্টর, তিল ১০৫ হেক্টর, বরবটি ১০ হেক্টর, ঝিংগা ৮০ হেক্টর, কাকরোল ৪০ হেক্টর, চিচিংগা ৫৫ হেক্টর, চাল কুমড়া ১৭৫ হেক্টর, কুমড়া ৩৮০ হেক্টর, ডাটা ২৪০ হেক্টর, পুঁইশাক ২২৫ হেক্টর, লালশাক ২৮০ হেক্টর, কলমী শাক ৮৫ হেক্টর, শষা ২৬৫ হেক্টর, ফুলকপি ১৬ হেক্টর, বাঁধাকপি ১২ হেক্টর, মুলা ৪০ হেক্টর, জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধায্য করা হয়েছে। লতিরাজ কচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে এক হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমি।

সবমিলে এবার সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার ৫৪০ মে.টন, যা জেলার সবজি চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব। জেলায় এবার বন্যার কারণে ধান এবং আগাম জাতের শাক সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়। কৃষকরা সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন করে সবজি চাষে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা খুশি।

জেলার আক্কেলপুর উপজেলার শন্তা গ্রামের কৃষক হান্নান মন্ডল দুই বিঘা

জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। বাজারমূল্য ভালো পাওয়ায় তিনি খুশি বলে জানান।

একই গ্রামের কৃষক আলামিন হোসেন বলেন, এক বিঘা জমিতে মুলা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। পূর্ব পারুলিয়া গ্রামের এন্তাজ আলী জানান, নিজের দেড় বিঘা জমিসহ ওই এলাকায় প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে এবার ফুলকপি বাঁধাকপির চাষ হয়েছে।

সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম ঢাকাটাইমস বলেন, সদর উপজেলায় এক হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও প্রায় ১২০০ হেক্টর জমি ছাড়িয়ে গেছে ইতিমধ্যে।

জেলার বড় সবজি পাইকারি বাজার নতুনহাটে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা। কাকরোল ৪০ টাকা, ঢেঁরস ৪৫ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, লতিরাজ কচু ৩৫ টাকা। পটল ৩৫ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৪০ টাকা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুধেন্দ্র নাথ ঢাকাটাইমসকে বলেন, জয়পুরহাটের কৃষকরা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখানকার সবজির মান খুব ভালো। সে কারণে জয়পুরহাটের সবজি বাইরে চাহিদা বেশি। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এসে এখান থেকে সবজি নিয়ে যায়।

(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :