ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে মোটরসাইকেল পেলেন মির্জাপুরের সাব্বির
সামান্য আয়ের সংসারে একটু সৌখিনতা আনতে দেশীয় পণ্য ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনতে গিয়েছিলেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের রড মিস্ত্রি সাব্বির মিয়া। কিন্তু ফ্রিজের সাথে ক্যাশ ভাউচারে ‘অধরা স্বপ্ন’ মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরলেন তিনি।
সোমবার বিকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ওয়ালটন প্লাজায় কিস্তিতে ৩০ হাজার ৭০০ টাকা মূল্যের একটি ফ্রিজ কিনতে গিয়েছিলেন সাব্বির। ফ্রিজ কিনে ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে মোবাইল নাম্বারে রেজিস্ট্রেশন করতেই পেয়ে গেলেন লাখ টাকা ভাউচার জেতার মেসেজ। আর সেই ক্যাশ ভাউচারে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করলেন সাব্বির। নিয়ে নিলেন ওয়ালটনের ফিউশন ১২৫ এনএক্স মোটরসাইকেল।
সাব্বির মির্জাপুর উপজেলার কুরনী ইউনিয়নের দুল্যা মনসুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
সাব্বির জানান, ছোট থেকেই একটি মোটরসাইকেল কেনার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও সেটা পূরণ করতে পারছিলাম না। সংসারের খরচ জোগাতে অল্প বয়সেই রডমিস্ত্রির খাতায় নাম লিখিয়েছিলাম। সামান্য আয়ের সংসারে দৈনিক খরচ কিছুটা কমাতে ওয়ালটন থেকে একটি কিস্তিতে একটি ফ্রিজ কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু ভাগ্যগুনে তার সাথে পেয়ে গেলাম মোটরসাইকেল।
বিজয়ীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ওয়ালটন পিএসডি টাঙ্গাইল ডিভিশনের হেড ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ড ডিরেক্টর আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জোনের এরিয়া ম্যানেজার বদরুল আমান, গাজীপুর জোনের এরিয়া ম্যানেজার রায়হান কবীর, ওয়ালটন প্লাজা মির্জাপুরের ম্যানেজার আনিসুর রহমান, টাঙ্গাইল ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টারের ম্যানেজার শান্তুনু মল্লিকসহ আরও অনেকে।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে আরও দ্রুত ও উত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে চালু করা হয় ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। এই কার্যক্রমে ক্রেতার অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে চলছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এর আওতায় ক্রেতাদের জন্য থাকছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগ। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শো-রুম থেকে দশ হাজার টাকা বা তার চেয়ে বেশি মূল্যের পণ্য কিনে প্রতিবার সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা।
২ অক্টোবর এই কার্যক্রম চালু হওয়ার পর সারাদেশে ক্রেতাদের কাছ থেকে মিলছে ইতিবাচক সাড়া। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুমগুলোয় ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনে দেখা গেছে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। পণ্য কিনতে এসে অপ্রত্যাশিত পুরস্কার পেয়ে অনেক ক্রেতাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগ। এর আওতায় প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা বা এর কমবেশি পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার দেয়া হবে। তিন মাসে ক্রেতারা পাবেন ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটি টাকার ক্যাশ ভাউচার।
(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)