স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে পিইসিতে বসতে পারেনি ৯ শিক্ষার্থী
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এবার অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা পিইসিতে অংশ নিতে পারেনি নয় শিক্ষার্থী। ফলে ওই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন এখন হুমকির মুখে পড়েছে। চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে অভিভাবকদের মাঝে।
জানা যায়, জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের বালিকান্দা গ্রামের মোকামপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মামুন রশীদ, ফাহিমা বেগম, লিজা বেগম, অঞ্জনা বেগম, মাহবুবুর রহমান, তামান্না বেগম, রুমি বেগম, সুমি বেগম ও আকলিমা বেগম অনুষ্ঠিত পিএসসি পরীক্ষা অংশ নিতে পারেনি।
২০১১ সালে নেদারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় এফআইভিডিবির পরিচালনায় ওই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এফআইভিডিবির দায়িত্বে ছিল। এর পর প্রায় আট মাস এফআইভিডিবির তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছিল। এফআইভিডিবি চলে গেলে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ও প্রবাসীদের অর্থায়নে তিন বছর বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু হঠ্যাৎ করেই প্রবাসীদের অর্থায়ন বন্ধ হলে কর্মরত শিক্ষকরা গত আট মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। যার জন্য স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া একাধিক কারণে ওই বিদ্যালয়ের নয় শিক্ষার্থী পিইসি পরীক্ষা দিতে পারেনি।
শিক্ষার্থীরা বলে, আমাদের স্কুলটি বন্ধ হওয়ায় অন্য স্কুলের বন্ধুরা পরীক্ষা দিচ্ছে। আর আমরা পরীক্ষা দিতে পারলাম না। খুব কষ্ট লাগছে। এখন বন্ধুরা আমাদের আগে চলে গেল, আর আমরা পিছিয়ে গেলাম। আমাদের জীবন থেকে একটি বছর চলে গেল। এর সমাধান কী হবে।
অভিভাবকরা বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষকে বার বার যোগাযোগ করে বলার পরেও তারা কোনো কথা শুনেনি। তারা তাদের কথা ভাবছে এখন আমাদের সন্তানরা যে পিইসি পরীক্ষা দিতে পারল না তার কী হবে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, আমরা আট মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। সমাপনী পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেয়ার বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির সাথে কথা বলেছিলাম, কিন্তু কোনো সাড়া দেননি তিনি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমিনুল হক ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমার শারীরিক অসুস্থতার জন্য স্কুলের সাথে যোগাযোগ হয়নি।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ঢাকাটাইমসকে বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। এই বিষয়টি জানা থাকলে নয় শিক্ষার্থীর পিইসি পরীক্ষা দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতাম।
(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)