মাদ্রাসাছাত্র হত্যায় দুই সহোদরসহ পাঁচজনের যাবজ্জীবন

শেরপুরে ধান ক্ষেতে সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসাছাত্র হত্যা মামলায় দুই সহোদরসহ পাঁচজনের যাবজ্জীবন করাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ মো. আওলাদ হোসেন ভূইয়া।

দণ্ডিতরা হচ্ছেন- সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের চরভাবনা গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল মুন্নাফ ও আব্দুল মোতালেব, সুরুজ্জামানের ছেলে হাফিজুর রহমান, মৃত আব্দুল জব্বরের ছেলে সৈয়দ জামান ও মকছেদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার চরভাবনা নামাপাড়া গ্রামে মাওলানা আজিজুর রহমানের ছেলে ও স্থানীয় কওমি মাদ্রাসার খারিজী শ্রেণির ছাত্রমাহমুদুল হাসান একটি শ্যালোমেশিন পরিচালনা করতেন। ২০০৪ সালের ১৫ই এপ্রিলে সেই শ্যালোমেশিন থেকে জমিতে সেচের পানি নিতে গিয়ে ঝগড়া হয় স্থানীয় আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল মুন্নাফসহ আরও কয়েকজনের। তারা ঘটনাস্থলে মাহমুদুল হাসানকে বেধরক মারপিট করেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মাহমুদুল হাসান। পরে নিহতের বড় ভাই মৌলভী আরিফ রহমান বাদী হয়ে ৭জনকে আসামি করে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে সদর থানার এসআই সজীব দত্ত একই বছরের ১৭ জুন ওই ৭ জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া চলাকালে সুরুজ্জামান ও মকছেদ আলী নামে দুই আসামি মারা যান। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৮ জনের ক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত দুই সহোদরসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এই রায় দেন।

(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)