অপহরণের পাঁচ দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার

কুমিল্লা প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর ২০১৭, ২০:২১

কুমিল্লার হোমনায় অপহরণের পাঁচ দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বারো বছর বয়সী নিহত রিয়াদ উপজেলার নিলখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। মিরাশ গ্রামের মো. সিরাজ মিয়ার ছেলে সে।

বুধবার বিকালে উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রামের সড়কের পাশের গর্ত থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।

রিয়াদের মামা জাহাঙ্গীর আলম জানান, সংসার ছিল অভাবের। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি ভাড়ায়চালিত ইজিবাইক চালিয়ে পরিবারকে সহায়তা করত রিয়াদ। গত শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে ইজিবাইক চালাতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে। এরপর ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইজিবাইকের মালিক মো. বাবুল মিয়াকে রিয়াদের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে ফোন করে ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

বিষয়টি রাতেই পরিবারের সদস্যরা মুরাদনগর পুলিশকে অবহিত করেন। অপহরণকারীদের দেয়া ঠিকানা মোতাবেক মুরাদনগর উত্তরত্রিশ কলাবাগানে গেলে মুক্তিপণের জন্য অপেক্ষমাণ তিন যুবককে আটক করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ইজিবাইকটি উদ্ধার করে।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রসুল আহমদ নিজামী জানান, গ্রেপ্তার তিনজনকে পুলিশ হোমনা থানায় সোপর্দ করে। এরা হলেন- দেবিদ্বার উপজেলার শিবনগর বক্স বেপারী বাড়ি গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম, মুরাদনগর উপজেলার উত্তর তিরিশ গ্রামের মো. হেলাল এবং একই গ্রামের খাবির হোসেন।

এ ঘটনায় রিয়াদের মামা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সোমবার হোমনা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। আটকদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার কোর্টে পাঠানো হলে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তার তিনজনকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরে রিমান্ডে তাদের তথ্যমতে, বুধবার ঢাকা থেকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে, বুধবার দুপুরে মনাইরকান্দি গ্রামের সড়কের পাশ থেকে রিয়াদের লাশ উদ্ধার করা হয়। অপহরণের পর ওই দিন সন্ধ্যায়ই গ্রেপ্তাররা রিয়াদকে খুন করে ইজিবাইক নিয়ে মুরাদনগর উত্তর ত্রিশ গিয়ে রিয়াদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে মুক্তিপণ দাবি করে বলে পুলিশের নিকট স্বীকার করেছে বলে জানান ওসি।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৪ নভেম্বর উপজেলার দুলালপুর হাইস্কুল ছাত্র জাহিদকে অপহরণ করে খুন করে মুক্তিপণ দাবি করে ঘাতকরা। পরে মুক্তিপণ চাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তিন পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর ওই তিন ঘাতক জাহিদকে খুন করে লাশ স্কুলের সেফটিক ট্যাংকে ফেলে রাখে বলে পুলিশকে জানালে চার দিন পর সেফটিক ট্যাংক থেকে পুলিশ জিহাদের লাশ উদ্ধার করে।

এ নিয়ে এক মাসে অপহরণের পর দুই স্কুলছাত্রে লাশ উদ্ধার হলো।

(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :