শাজনীন হত্যা: কাশিমপুরে শহীদের ফাঁসি কার্যকর

গাজীপুর প্রতিনিধি
| আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০১৭, ২২:৪২ | প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর ২০১৭, ২২:২৪
শাজনীন তাসনিম রহমান

রাজধানীর গুলশানের নিজ বাড়িতে শিল্পপতি লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমান হত্যা মামলার আসামি শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আজ বুধবার রাত পৌনে ১০টায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান কারাফটকে এসে ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

এর ঘণ্টাখানেক আগে জেলা সিভিল সার্জন সৈয়দ মো. মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফারজানা মান্নান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাহেনুল ইসলামসহ পুলিশ প্রশাসনের লোকজন কারাগারের প্রবেশ করেন।

শহীদের ফাঁসি কার্যকর করাকে ঘিরে কারাফটকের সামনে বিকেল থেকেই নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। শহীদের ছোট ভাই মহিদুল ইসলাম, খালা, বোনসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য কারাগারে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন।

কাশিমপুর কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, গুলশানে নিহত শাজনীন তাসনিম রহমান হত্যা মামলার আসামি শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ এই কারাগারে গত পাঁচ বছর ধরে বন্দি ছিলেন। সর্বোচ্চ আদালতে রিভিউ খারিজের পর তাকে কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়। পরে তার মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে এসে পোঁছায় এবং আদালতের রায় কার্যকরের জন্য কারাগারে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি নেয়া হয়। আজ রাত পৌনে ১০টার দিকে কারাগারের জল্লাদ রাজু শহীদের ফাঁসি কার্যকর করেন।

শহীদের মরদেহ রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে করে তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মকসুদপুরে পাঠানো হবে বলে জানান জেলার।

মামলা ও কারাসূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানের নিজ বাড়িতে খুন হন স্কুলছাত্রী শাজনীন তাসনিম রহমান। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় শাজনীনের বাবা ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপর একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করে সিআইডি।

তদন্ত শেষে প্রথম মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতণ্ড১ এবং দ্বিতীয় মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। দুটি মামলাতেই আদালত অভিযোগ গঠন করেন।

ঘটনার প্রায় পাঁচ বছর পর ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। রায়ে শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে শহীদসহ ছয় আসামির ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।

২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতে দেয়া পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে অপর আসামি শনিরামকে খালাস দেন। এরপর পাঁচ আসামি হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।

২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল সাজাপ্রাপ্ত চার আসামির লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আরেক আসামি শহীদ জেল আপিল করেন। সাত বছর পর ২৯ মার্চ ওই পাঁচ আসামির আপিলের শুনানি একই সঙ্গে শুরু হয়। চলতি বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে করা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শহীদের রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ ওই রিভিউ আবেদনটি খারিজ করে দেন।

(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :