র‌্যাবের অভিযানে জেএমবি সদস্য গ্রেপ্তার

জেএমবির সারোয়ার গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ও একাধিক মামলার আসামি মুফতি মাওলানা মো. তাওহীদুল ইসলাম ওরফে জুবায়ের জোনায়েদকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জের র‌্যাব-১১। এ সময় তার কাছ থেকে জঙ্গিবাদী লিফলেট জব্দ করা হয়।

বুধবার রাতে রাজধানীর লালবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানা এলাকাতে।

বৃহস্পতিবার র‌্যাব-১১ জানায়, মাওলানা মো. তাওহীদুল ইসলাম ২০০৫ সালে ঢাকার লালবাগের একটি মাদ্রাসা হতে হেফজ পাস করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র পড়ানোর কাজ শুরু করে। এসময় জনৈক শাহজাহানের মাধ্যমে সে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বা হুজিতে যোগ দেয়। হুজিতে থাকা অবস্থায় সে অন্য জঙ্গি সংগঠনের সাথে তার যোগাযোগ তৈরি করে এবং ২০১২ সালে সাজিদ নামে এক জেএমবি সদস্যের সাথে পরিচয়ের সূত্রে সে জেএমবির কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হতে থাকে।

পরে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে সম্পূর্ণরূপে হুজি ত্যাগ করে জেএমবির সারোয়ার গ্রুপে যোগ দেয় সে। আররিতে দক্ষতার কারণে তার এক ছাত্রের পরামর্শে ২০১৬ সালের মে মাসে সে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে আরবি শিক্ষার একটি কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে। এই কোচিং সেন্টারে জেএমবির ১২-১৫ জন সদস্য আরবি পড়া ও অর্থ বোঝার প্রশিক্ষণ নিত। রাশেদ নামে অপর এক জেএমবি সদস্য এই বাসাটি ভাড়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল।

এর কিছুদিন পর তাওহীদ জেএমবির শীর্ষস্থানীয় সদস্য ইমরান আহমেদের সান্নিধ্যে আসে এবং ইমরানের বাসায় ইমরান ও তার ছেলেকে আরবি পড়ানোর কাজ শুরু করে। ধীরে ধীরে ইমরান আহমেদের সাথে তার ঘনিষ্ঠতার সূত্রে সে সংগঠনের আর্থিক বিষয়াদি দেখাশুনা করা শুরু করে। সে ইমরানসহ সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সাজিদের কাছে পৌঁছে দিত বলে জানায়।

পরে ইমরানের পরামর্শে তার কোচিং সেন্টারটি স্থানান্তর করে ইমরানের বাসায় পুনঃস্থাপন করে। সংগঠনের সদস্যদের আরবি শেখানোর পাশাপাশি ইন্টারনেটে প্রাপ্ত উগ্রবাদী মতামত, বিভিন্ন বার্তা ও বইসমূহ সে অনুবাদ করে দিত। এভাবে তাওহীদ জেএমবির সারোয়ার গ্রুপের সদস্যদের মাঝে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। সর্বশেষ সে জেএমবির সারোয়ার গ্রুপের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব ও সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছিল।

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)