আনিসুলের মতো ‘ভালো’ মেয়র চান মওদুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:২৭ | প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:১৫

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পরবর্তী মেয়র প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের মতোই ভালো ও কর্মঠ হবেন বলে আশা করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। বলেছেন, দলীয় বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও প্রয়াত মেয়র নগরের উন্নয়নে নানা মহৎ কাজ করেছিলেন। এ জন্য তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয়।

শুক্রবার সকালে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মওদুদ এ কথা বলেন। বিএনপিপন্থী সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে যান তিনি।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন মেয়র আনিসুল হক মারা যান। তার মৃত্যুতে নগরবাসী শোক প্রকাশ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শোক জানিয়েছেন।

২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের সমর্থনে নির্বাচিত মেয়র আনিসুলকে ‘অত্যন্ত ভালো, কর্মঠ, সজীব ও সজ্জন মানুষ’ হিসেবে উল্লেখ করেন মওদুদ। বলেন, ‘দল হিসেবে মত পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু এটা বলার অপেক্ষা রাখে না তিনি কতগুলো মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তার এই অকাল মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত।

‘তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং তিনি যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন একজন সিটি করপোরেশন নেতা হিসাবে আশা পরবর্তীতে যারা করপোরেশনের দায়িত্বে আসবেন তারা তাকে অনুকরণ করবেন।’

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়েও কথা বলেন মওদুদ। বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমার ৫০ বছরের অভিজ্ঞতায় কোনো দিনও শুনিনি যে সাপ্তাহিক জামিন নিতে হয়। সপ্তাহিক জামিন হলো বিরোধী দলের নেত্রীর জন্য আরও বেশি নির্যাতন, বেশি অপমানজনক। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের দেশের নিম্ন আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে। সেই কারণে তারা আজকে এই ধরনের আদেশ দিয়েছে।'

‘কাল (বৃহস্পতিবার) অর্ধ দিবস পর্যন্ত হরতালের কারণে বেগম জিয়া আদালতে যেতে পারেননি। আদালতে বলা হয়েছে তিনি (খালেদা জিয়া) আসবেন দুইটার পরে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিলেন। এই ধরনের আচরণ আমরা বিচার বিভাগ থেকে প্রত্যাশা করিনি।’

‘প্রকৃত সত্য হলো যেহেতু বিচারকদের স্বাধীনতা নেই ফলে তারা নিজেদের ইচ্ছামত আদেশ দিতে পারছেন না। ফলে তারা এই ধরনের আদেশ দিতে বাধ্য হচ্ছেন।’

এটা খুব খারাপ একটা দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে আদালত-এমন মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) বিদেশে ছিলেন। বিদেশ থেকে ফেরার পর যখনই আদালত ডেকেছেন তখনই গেছেন, যত রকম সম্মান দেখানোর দরকার তা তিনি দেখিয়েছেন। তারপরও তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বিস্ময়কর।'

সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও তারা গণতন্ত্রকে ধূ‌লিস্যাৎ করেছে বলেও অভিযোগ করেন মওদুদ। বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে যা বুঝাই দেশে স্বাধীন গণতন্ত্র থাকবে, আইনের শাসন, প্রচার মাধ্যমের স্বাধীনতা থাকবে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে, দেশে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে। কিন্তু আজকে দেশে কোনো গণতন্ত্র নাই, আইনের শাসন নাই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নাই।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি শামা ওবায়েদ প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/০১ডিসেম্বর/বিইউ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :