শনিবার দাওয়াতুল হকের কেন্দ্রীয় ইজতেমা

প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:৫৩

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

মজলিসে দাওয়াতুল হক মহানবী (সা.)-এর জীবন, আদর্শ ও সুন্নত চর্চার একটি বিশেষ কেন্দ্র। দেশব্যাপী সাধারণ মানুষদের আজান, ইকামত, নামাজ, ওজু, জানাজাসহ সুন্নতের ব্যবহারিক জীবন শেখানো হয়।

আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে যাত্রাবাড়ীর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়ায় (যাত্রাবাড়ী বড় মাদরাসা) ২৩তম কেন্দ্রীয় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশ-বিদেশের শীর্ষ উলামা-মাশায়েখ অংশগ্রহণ করবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করবেন।

সর্বশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমা সমাপ্ত হবে। মোনাজাত পরিচালনা করবেন মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমির, গুলশান আজাদ মসজিদের খতিব ও যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুহতামিম মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান।

‘আমি হজরতের সান্নিধ্যে মানসিক প্রশান্তি খুঁজে পাই’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দাওয়াতুল হকের কেন্দ্রীয় ইজতেমা উপলক্ষে একটি বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে এরশাদ বলেন, ‘ইসলামের নবী মুহাম্মদ সা. ছিলেন শান্তি ও মানবতার দূত। ইসলামের অমীয় বাণী প্রচার করে তিনি পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে তিনি আগমন করেছিলেন। কিন্তু আল্লাহর বাণী ও অনুপম জীবনাদর্শ দিয়ে তিনি তার সময়কে স্বর্ণযুগে পরিণত করেন। মানব ইতিহাসে তার সময়টিই সবচেয়ে উজ্জ্বল ও স্মরণীয়। মুহাম্মদ সা. এর জীবনাদর্শ থেকে সরে যাওয়ার কারণেই আজ পৃথিবীতে অশান্তি দেখা দিয়েছে। মুসলিম জাতি তার গৌরবোজ্জ্বল দিন হারিয়েছে। রাসুল সা. এর জীবনাদর্শের অনুসরণই বিশ্ব মানবতার মুক্তি নিশ্চিত করতে পারে।আমাদের জাতীয় জীবনের সংকটসমূহ সমাধানের পথও রাসুল সা. এর সুন্নাতের অনুসরণ। রাসুল সা. এর সুন্নাহ-এর প্রচার ও প্রসারে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে মজলিসে দাওয়াতুল হক।’

এরশাদ বলেন, ‘ইসলাম ও মুসলমানের কল্যাণে শান্তিপূর্ণ উপায়ে কাজ করে যাচ্ছে তারা। সুন্নাতের চর্চা ও অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির জন্য নিবেদিত মজলিসে দাওয়াতুল হক। বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম আমার শায়খ ও মুরশিদ আল্লামা মাহমুদুল হাসান বাংলাদেশে সুন্নাতে রাসুল সা. এর তালিম দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নিজে সুন্নাতের ওপর চলেন এবং অন্যকে সুন্নাতের ওপর চলতে উদ্বুদ্ধ করেন। হজরতের ব্যক্তিত্ব আমাকে মোহিত করে।’

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আল্লামা মাহমুদুল হাসানের মাধুর্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, জ্ঞানের গভীরতা ও উম্মাহর জন্য তার ভালোবাসা অতুলনীয়। আমি হজরতের সান্নিধ্যে মানসিক প্রশান্তি খুঁজে পাই। আগামী ২ ডিসেম্বর মজলিসে দাওয়াতুল হকের বার্ষিক ইজতেমা। আমি নিজেও একাধিক বার ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেছি। দেশের বরেণ্য আলেমগণ এখানে আসেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন। আমি ইজতেমার সার্বিক কল্যাণ কামনা করছি। উম্মতের ঘরে ঘরে সুন্নাতে নববীর দাওয়াত পৌঁছে যাক।’

(ঢাকাটাইমস/০১ডিসেম্বর/জেবি)