ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:৪৯

হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গ উপজেলার মন্দরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হকের বিরুদ্ধে এক নারীর জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।

শুক্রবার হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বানিয়াচঙ্গ উপজেলার উত্তর সাঙ্গর গ্রামের কামাল হোসেনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার এই অভিযোগ করেন। তার অভিযোগ মন্দরী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন জনের জমি নানা কৌশলে দখল করে নিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান। আবার অনেককে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে কাগজ করে নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যেখানে খালি বা পতিত জমি রয়েছে, সেখানেই হাত বাড়ান চেয়ারম্যান। হিন্দু সম্প্রদায়ের বা সমাজের নিরীহ লোকজন ও নারীদের জমির প্রতি তার আকর্ষণ বেশি।

ফারজানা জানান, উত্তর সাঙ্গর গ্রামের তার স্বজনরা যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন। উত্তর সাঙ্গর মুর্দাকাহারাম মৌজার ৬৫৯ নং দাগের ৪২ শতক জমি তিনি পৈত্রিক সূত্রে পেয়েছেন। এই জমি প্রথমে ছিল তার দাদার নামে। পরে তার বাবার নামে কাগজ হয় এবং তিনিই ফারজানার নামে জমিটি করে দেন। কিন্তু সামছুল হক জালিয়াতি করে এই জমির দলিল তৈরি করেছেন।

সামছুল হকের কথা মতো জমিটি না ছাড়তে চাওয়ায় হুমকি দেয়ার অভিযোগও করেছেন ফারজানা। বলেন, এলাকার মুরুব্বি ও প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।

জমি না পেয়ে ফারজানা ও তার পরিবার ও স্বজনদের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। ফারজানা বলেন, চেয়ারম্যানের বাহিনী তাকে নানা যৌন হয়রানিও করছে।

ফারজানার অভিযোগ, গত ২২ নভেম্বর তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান চেয়ারম্যান শামসুল। সেখানে ইউএনও এবং পুলিশসহ তাঁর বাহিনীর লোকজন তাকে জায়াগাটি ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর চেয়ারম্যানের লোকজন জায়গাটির দখল নিতে গেলে ফারজানার স্বজন ও গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে তারা ফিরে আসে।

তবে, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হক সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যিনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এই মৌজায় তার কোনো জমি নেই। আমাকে সামাজিকভাবে হয়রানির জন্য আমার প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, তার বাবার নামে কাউরিয়া কান্দি মৌজায় জমি রয়েছে বলে আমি শুনেছি। এই মৌজায় কোনো জমি নেই। তাছাড়া আমার কোনো লোকজন কাউকে কোনো ধরনের হুমকি দেয়নি। বরং, ওই অভিযোগকারী নারী আমার রেকর্ডিয় জমি অবৈধভাবে দখল করে আছে। তাকে যখন ইউএনও অফিসে তলব করা হয়েছিল সে সময় তিনি কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। সংবাদ সম্মেলনে আনিত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

ঢাকাটাইমস/০১ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :