আখাউড়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত
যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে ‘দয়াল নবীর গোলাম আমরা মাইজভান্ডারী’ সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের আহরন্দ ভক্তবৃন্দের উদ্যোগে মাওলানা মাসুদ ভান্ডারীর নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি আখাউড়া-আগরতলা মহাসড়ক হয়ে খরমপুর শাহ্ ছৈয়দ আহম্মদ গেছু দরাজ (র.) প্রকাশ্য কেল্লা শহীদের দরবারে অনুষ্ঠিত মিলাদ ও দোয়ার মজলিসে গিয়ে মিলিত হয়।
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও মৃত্যুর এ দিনটিতে দেশ ও সারাবিশ্বের মুসলমানদের মঙ্গল কামনায় খরমপুর কেল্লা শহীদ দরবারে মোনাজাত পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম মাইজভান্ডার দরবার শরিফের মাওলানা মাসুদ ভান্ডারী।
এর আগে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর পরিবেশে আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবন নিয়ে আলোচনা, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে দেশ, সমাজ ও পরিবারের কল্যাণে বিশেষ মোনাজাতে দলে দলে মানুষ অংশ নেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. আরিফুল ইসলাম সাদেক, হারুনূর রশিদ, মো. হান্নান মিয়া, আনোয়ার ভূঁইয়া, শাহ্ আলম কালোসহ শত শত ভক্ত আশেকান।
প্রায় ১ হাজার ৪০০ বছর আগে এই দিনে আরবের মরুপ্রান্তরে মা আমেনার কোলজুড়ে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আবার এই দিনেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) এসেছিলেন তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। ইসলাম ধর্মমতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) শেষ নবী। তাই তাঁর জন্ম ও ওফাত দিবস ১২ রবিউল আউয়াল মুসলমানদের কাছে পবিত্র দিন। মুসলমানরা প্রতিবছরই দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন।
(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)