‘রাজস্ব উন্নয়নের চাবিকাঠি’
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের অর্থের প্রয়োজন। আমাদের অনেক কিছু করতে হচ্ছে একেবারে নতুন করে। প্রায় আমাদের কিছুই ছিল না, সেখানে রাস্তা ঘাট, সেতু, বিদ্যুৎ সব কিছুর জন্য অর্থের প্রয়োজন। আমরা নিজেরা উপনিবেশের শিকার ছিলাম। এজন্য আমাদের খেঁটে খেতে হবে। সুতরাং আমাদের রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের নিজেদের উপার্জন নিজেদেরই ব্যবহার করতে হবে। আমার বিশ্বাস, এ ব্যাপারে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে। এক্ষেত্রে রাজস্ব কর্মকর্তাদের অবদান রয়েছে। প্রচারণার মাধ্যমে, মেলার মাধ্যমে আপনরা আরো বেশি উচ্চকিত হবেন বলে আশা রাখি।
তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ তাই সকলের প্রতি আমাদের সমান আচরণ করতে হবে। যে কোন মূল্যে উন্নয়ন এটা আমাদের মূল কথা নয়, আমাদের মানবিক উন্নয়ন হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে আমাদের তরুণ কর্মকর্তারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী শনিবার গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত দিনব্যাপী কাস্টমস ও ভ্যাটের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজস্ব বোর্ডের ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. মতিউর রহমান।
বক্তব্য দেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. ফিরোজ শাহ আলম, রেজাউল হাসান, ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, সুলতান মো. ইকবাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, রাজস্ব উন্নয়নের চাবিকাঠি। এক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি সর্বোচ্চ ব্যবহার ও দেশপ্রেম জরুরি। রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যে সারাদেশে ১৬৪টি কলসেন্টার করা হয়েছে। অনলাইনে ভ্যাট নেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অনলাইনে ভ্যাট দেয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।
সম্মেলেনে বিভাগীয় কর কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য দেন- প্রিয়াঙ্কা দাস এবং শহীদুল ইসলাম। তারা ঝুঁকিভাতা প্রদান, সরকারিভাবে দাপ্তরিক মোবাইল ফোন এবং দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ ও ডিগ্রি অর্জনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান ৩০ জুনকে জাতীয় রাজস্ব দিবস ঘোষণা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ১৯৭২ সালের ৩০ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠিত হয়েছিল। এ দিনটির সাথে যেহেতু রাজস্ব বোর্ডের প্রতিষ্ঠা জড়িত, তাই প্রতিবছর ৩০ জুন জাতীয় রাজস্ব দিবস ঘোষণা করা হোক।
তিনি বলেন, এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। আগামি বছর এ লক্ষ্যমাত্রা হবে ২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। আমাদের রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, উন্নয়নের গতি বাড়ছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে তিনি কাস্টম ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের আরো মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান।
(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)