বগুড়ায় সাবেক সেনা সার্জেন্ট হত্যার রহস্য উদঘাটন
বগুড়ায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট শফিকুল ইসলাম (৪৫) খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। সেই সাথে ওই খুনের ঘটনায় জড়িত আসামি লাল মিয়া ওরফে বিষু ওরফে সম্রাটসহ চার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ৩০ নভেম্বর শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে লাল মিয়া ওরফে বিষু ওরফে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তার স্বীকারোক্তি অনুসারে পুলিশ ওই ঘটনায় অংশ নেয়া আরও তিনজনকে আটক করে। তারা হলেন শাকপালা এলাকার জিয়াউল হকের ছেলে রাকিব (২৫), একই এলাকার আব্দুল হালিম বগা এবং রবিউল। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনা ঘটানোর কথা স্বীকার করেন এবং কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছেন এর বিস্তারিত বিবরণ দেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত দুটার দিকে শাজাহানপুর থানা পুলিশের একটি দল রাকিব এবং বগাকে নিয়ে আলামত উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থান করা তাদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় রাকিব এবং বগা পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করলে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। পুলিশের তৎপরতায় দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ দ্রুত রাকিব এবং বগাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। তারা এখন পুলিশ প্রহরায় শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সময় পুলিশের এএসআই তাহের, কনস্টেবল রেজাউল এবং রশিদ আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তারা বর্তমানে পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। রাকিব এবং বগা এলাকায় চিহ্নিত ছিনতাইকারী হিসেবে পরিচিত এবং শাকপালার আমিনুল খুনসহ একাধিক মামলার আসামি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ৭.৬৫ বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড তাজা গুলি, দুইটি গুলির খোসা এবং একটি চাকু উদ্ধার করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ নভেম্বর রাতে বগুড়ায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সার্জেন্ট শফিকুল ইসলাম (৪৫)। তিনি বগুড়ার জাহাঙ্গীরাবাদ ক্যান্টনমেন্টে অবসরকালীন ছুটিতে ছিলেন। বুধবার ভোররাতে বগুড়া শহরতলীর ফুলদীঘি এলাকায় খুনের ঘটনা ঘটে।
(ঢাকাটাইমস/০৩ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)