বাংলাদেশে এইডস রোগী প্রায় ১২ হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:৫২ | প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:১৩

বাংলাদেশে এইডস রোগীর সংখ্যা ১২ হাজারের কাছাকাছি (১১ হাজার ৭০০) বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এদের মধ্যে চিহ্নিত হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো। তবে এই রোগে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা জনসংখ্যার এক শতাংশ বা ১৬ লাখ।

বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব তথ্য তুলে ধরেন।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়েছে। কিন্তু দিবসটিতে ঢাকায় সরকারি কর্মসূচি করা যায়নি। আগামী বুধবার কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি পালন করা হবে। সেদিন রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় এইডস আক্রান্ত নতুন রোগীদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৭৭ হাজার ৭২৫ জনের এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ৮৬৫ জনের মধ্যে এইচআইভি শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৩৯ জন পুরুষ, ২১৩ জন নারী, ১৩ জন তৃতীয় লিঙ্গের। ৬৩ জন রোহিঙ্গা নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী। সবমিলিয়ে ১৯৮৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৮৬ জন।

প্রধানত যৌনবাহিত এইচআইভি ভাইরাসের প্রভাবেই শরীরে এইডস রোগ হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যু অবধারিত। ইদানীং কিছু ওষুধ বের হলেও তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আর এই রোগীরা সামাজিকভাবেও বিচ্ছিন্ন জীবন কাটাতে বাধ্য হন।

৯০ দশকে এই রোগটির বিস্তার নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশও এর বাইরে ছিল না।

অরক্ষিত যৌন মিলন ছাড়াও একজনের শরীর থেকে অপর জনের শরীরে রক্তের মাধ্যমেও রোগটি ছড়াতে পারে। যৌন মিলন ছাড়াও সিরিঞ্জের সুঁইয়ের মাধ্যমেও রোগটি ছড়ায়।

তবে বাংলাদেশে এইডস রোগের বিস্তার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এইডস এর সংক্রমণ ঢাকার কিছু অঞ্চলে বাড়লেও তা নিয়ন্ত্রণে আছে। কিছু রোহিঙ্গার শরীরে এইডস্‌ পাওয়া গেছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

নাসিম বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে এইডসের দিক থেকে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছি। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এইচআইভি বিষয়ক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি।...এসডিজি থ্রি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূলে সক্ষম হব বলে আশা করছি।’

স্বাস্থ্যসচিব সিরাজুল হক খান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফয়েজ আহমদ প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/০৪ডিসেম্বর/এমএম/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ

গরমে স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি

ঔষধি গাছ থেকে তিন শতাধিক ওষুধ তৈরি হচ্ছে ইরানে

কণ্ঠের সব চিকিৎসা দেশেই রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: বিএসএমএমইউ উপাচার্য 

এপ্রিল থেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা মৌসুম শুরু, মার্চের মধ্যে টিকা নেওয়ার সুপারিশ গবেষকদের

স্বাস্থ্য খাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভাতা বাড়লো ইন্টার্ন চিকিৎসকদের

বিএসএমএমইউ বহির্বিভাগ ৪ দিন বন্ধ, খোলা থাকবে ইনডোর ও জরুরি বিভাগ

তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিএসএমএমইউতে বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি দীন মোহাম্মদ

ঈদের ছুটিতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে যেসব নির্দেশনা মানতে হবে হাসপাতালগুলোকে

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :