আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শনে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল
বিশ্বব্যাংকের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দেশের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর পরিদর্শন করে।
মঙ্গলবার দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরো গতিশীল করাসহ কাস্টমস্ ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টকে আধুনিকায়ন করার জন্য করণীয় নির্ধারণে বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিনিধিদলটি স্থলবন্দর এলাকার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে।
এ সময় প্রতিনিধিদলটি আশুগঞ্জ-আখাউড়া-আগরতলা সড়কের বর্তমান অবস্থার সার্বিক পরিস্থিতিরও খোঁজখবর নেয়।
আন্তঃদেশীয় আঞ্চলিক যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আখাউড়া স্থলবন্দরের বাণিজ্যিক উন্নয়নে এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন- বিশ্বব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট স্টেশালিস্ট জন্ এরিক নুরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরে ট্রান্সপোর্ট স্টেশালিস্ট জন্ এরিক নুরা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আকাশ ও নৌপথের পাশাপাশি সড়কপথে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগে অবকাঠামোর প্রয়োজনীয়তা গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত সময়ের মধ্যে এশীয় মহাসড়কের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযুক্তি করা হবে।
তিনি বলেন, এশীয় মহাসড়কের মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় ও আঞ্চলিক যোগাযোগ স্থাপনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধি দলের বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে আখাউড়া-আশুগঞ্জ মহাসড়ক খুবই দুর্বল অবস্থায় আছে। এ মহাসড়কে মালবাহী ট্রাকের ধারণক্ষমতা মাত্র আট টন। আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু হলে ১২ টনের অধিক ওজনের ট্রাক চলাচল করবে। তাই দুর্বল কাঠামোর মহাসড়ক সমযোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের এ প্রতিনিধিদলটি বুধবার বেনাপোল আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর এলাকা পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- কৃষ্ণনাল শ্রীনিভাসন, এন্থনি জী ব্লিস্, জন্ হ্যান্রি ফেবার উল্ডোফ, জিফ ওয়ালকার এবং বাংলাদেশে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিশ্বব্যাংকের সিকিউরিটি স্টেশালিস্ট এম. শোয়েব।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ এসআই পেয়ার হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/৫ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)