আগামীতেও বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে: ইনু

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ২০১৮ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে।

বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে স্থানীয় একটি হোটেলে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি-বিশ্বময় বাঙালি চেতনার জাগরণ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যতদিন থাকবে ততদিন রাজাকার উৎপাদন হবে। এ দুটো বাদ না দিলে দেশের রাজনীতির মীমাংসা হতে পারে না। তারা রাজাকার, জঙ্গি ও জামায়াতের সাথে জোট বেঁধে দেশের রাজনীতি হত্যা করছে। পাকিস্তানের চারাগাছ আবারো রোপণের চেষ্টা করছে।’

ইনু বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও বিএনপি বিষবৃক্ষ। আর রাজাকার, জঙ্গি ও জামায়াত বিষাক্ত বৃক্ষের ডালপালা। যতই ডালাপালা ছাঁটাই করা হোক না কেনো, যতক্ষণ পর্যন্ত বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশ সঠিকভাবে এগুতো পারবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ বর্তমানে দেশে জনগণের কাছে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ। নতুন রাষ্ট্রের জন্ম দেয়ার ভাষণ। ৮ মার্চ থেকেই তা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়ে যায়। এদিন থেকেই বঙ্গবন্ধু সব কর্তৃত্ব নিজের হাতে নিয়ে নেন এবং নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে দেশের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেন। তিনি প্রশাসন, বেতার, টেলিভিশন সব নিজের আওতায় নিয়ে নেন। সুতরাং তৎকালীন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৭ মার্চের ভাষণ প্রাসঙ্গিক হলেও সবসময়ের জন্য তা প্রাসঙ্গিক ভাষণ।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের জনগণ তার নেতৃত্ব স্বীকার করে একসঙ্গে কাজ করার শপথ নেন। শুধু আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা বাকি ছিল। বঙ্গবন্ধু স্বশাসিত স্বাধীন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করেন।’

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর এই স্বাধীনতার ভাষণকে ধামাচাপা দিয়েছে খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান-এই কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের ইতিহাস বিকৃত করে সঠিক ইতিহাসকে ধামাচাপা ও বিকৃত করে দিয়েছে তারা। পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসনের ধারাবাহিকতায় বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়া এই ভাষণকে বিকৃত করেছে। তারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না। ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্যকে অস্বীকার করে।’

ইনু বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হাঁটতে শুরু করেছে। তখন ঐতিহাসিক এ ভাষণকে নিয়ে আমরা আলোচনা করি। সঠিক ইতিহাস চর্চা করি। সঠিক ইতিহাস চর্চা করা হলে সাড়ে চার হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্যের ইতিহাস ও শেকড়ের চর্চা করা হবে। এই চর্চাও প্রাসঙ্গিক। যাদের ইতিহাস নাই তারা সঠিক ইতিহাসকে বিকৃত ও ধামাচাপা দেয়ার পাঁয়তারা করে।’

সার্ক চলচ্চিত্র সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি রেদুয়ান খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও চলচ্চিত্র পরিচালক আহসানুল্লাহ মনি, দৈনিক নবচেতনার সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/০৬ডিসেম্বর/জেবি)