ঢামেকে আড়াই বছরের কুড়িয়ে পাওয়া শিশু

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:৫৮ | আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:০২

আশিক আহমেদ, ঢাকাটাইমস

গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনি কাছে একটি কম্বল মোড়ানো অবস্থায় পড়েছিল শিশুটি। অবস্থা সঙ্গীন। কয়েকজন পথচারী দেখে খবর দেয় পুলিশকে। আর তারা ছেলেটিকে নিয়ে আসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

শিশুটি কথা বলতে পারে না এখনও। ফলে কে তার বাবা, কে তার মা, কোথায় তার বাড়ি, কীভাবে সে গাবতলী এলো।

হাসপাতালের ২১০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বিছানায় আছে শিশুটি। শ্বাসকষ্ট, খিচুনিসহ নানা জটিল সমস্যায় শিশুটির অবস্থা নিয়ে রয়েছে উদ্বেগ। একটি বেসরকারি সংস্থা শিশুটির জন্য এক দিনের চিকিৎসার ব্যয় মিটিয়েছে। এ ছাড়া দরিদ্র তহবিল থেকে টাকা দেয়া হয়েছে তাকে। তবে তার পরিস্থিতি দেখে চিকিৎসকরা ধারণা করছেন তার চিকিৎসা দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল হতে পারে। এ জন্য টাকার সংস্থান করার চেষ্টা করছেন তারা।

চিকিৎসকরা আরও চিন্তিত তার অভিভাবক কে তা নিয়ে। পাশে স্বজন থাকলে চিকিৎসার জন্য ভালো হতে বলে জানিয়েছেন তারা। পুলিশ চেষ্টা করছে তার অভিভাবকের পরিচয় জানতে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পায়নি বাহিনীটি।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার সময়ে দারুসসালাম থানার উপপরিদর্শক শারিফুজ্জামান কয়েকজন পথচারীর সহযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছেলেটিকে ভর্তি করেন।

শিশু মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল মতিনের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি।

বুধবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিছানায় অক্সিজেন দিয়ে শ্বাস-প্রশাস নিচ্ছে শিশুটি। তবে মাঝেমধ্যে তার খিচুনি দেখা দিচ্ছে। প্রায়ই কেঁদে উঠছে সে।

সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মন্টি বনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘শিশুটির মস্তিস্কে সমস্যা রয়েছে। তার কারণেই তার খিচুনিসহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিয়েছে।

এই চিকিৎসক বলেন, ‘আমাদের এখানে ভর্তি হওয়ার পর দরিদ্র তহবিল থেকে টাকা দিয়ে তার একটি এক্সরে করানো হয়েছে। এছাড়া একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি শিশুটিকে একদিনের ওষুধ দিয়েছে। তার চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল হবে। দেখা যাক কি হয়।’   

জানতে চাইলে দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিমুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘গতকাল রাতে আমরা শিশুটিকে পেয়েছি। তখন তার শরীরে প্রচণ্ড জ্বর ছিল বলে  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।’

এক প্রশ্নের জবাবে সেলিমুজ্জামান বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত শিশুটির কোন পরিচয় জানা যায়নি। আমরা তাকে অপরাজেয় বাংলাদেশ নামের একটি সংস্থার তত্ত্বাবধানে রেখেছি।’

ঢাকাটাইমস/০৬ডিসেম্বর/এএ/ডব্লিউবি