শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন বেসিকের তিন কর্মকর্তা
ঋণ জালিয়াতির মামলায় বেসিক ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ফজলুস সোবহানসহ তিনজনকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।
জামিনপ্রাপ্ত অপর দুইজন হলেন- ব্যাংটির গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক শিপার আহমেদ এবং ব্যাংক কর্মকর্তা মো. সেলিম। চার মামলায় ফজলুস সোহানকে এবং দুটি করে মামলায় অপর দুইজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
জামিনের শর্তের মধ্যে আছে, আদালতের কাছে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে এবং আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে যেতে পারবেন না।
আদালতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ও ড. শাহদীন মালিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব, একেএম ফজলুল হক ও কামাল আমরুহী।
জামিন আবেদন মঞ্জুর করার আগে আদালত বলেন, আবদুল হাই বাচ্চু নিজেই বলেছেন যে, বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির পেছনে একটি সিন্ডিকেট জড়িত।
আদালত আরও বলেন, ব্যাংক লুটপাটের বিষয় খুবই শক্তভাবে দেখা দরকার। আর্থিক অফরাধের বিষয় খুবই নিষ্ঠার সঙ্গে দেখা উচিত। তা না হলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। এছাড়া আদালত দুদকের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে বিশেষ করে অভিযোগপত্র দিতে দেরি হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন।
বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখায় ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদক পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে। এরপর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ৫৬টি মামলা করে দুদক। মামলায় বেসিক ব্যাংকের ২৬ জন কর্মকর্তাসহ মোট একশ ৫৬ জন আসামি করা হয়। ব্যাংক কর্মকর্তার বাইরে অপর আসামিরা ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। তবে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু এবং ব্যাংটির পরিচালনা পর্ষদকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। বিষয়টি আদালতের নজরে আসার পর এনিয়ে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরবর্তী সময়ে আবদুল হাই বাচ্চুর বক্তব্য জানতে চেয়ে দুদক তাকে নোটিশ দেয়। এ নোটিশের পর আবদুল হাই বাচ্চু দুদকে হাজির হন। দুদক এরইমধ্যে তাকে দুই দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
(ঢাকাটাইমস/০৬ডিসেম্বর/এমএবি/জেবি)