মোমিন হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৩:১১ | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৩:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জাসদ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর নেতা, কমার্স কলেজের ছাত্র কামরুল ইসলাম মোমিন হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ডসহ ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ মামলার অন্যতম আসামি ওসি রফিক মৃত্যুবরণ করায় তাকে এ মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।

২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইব্রাহিমপুরে নিজ বাড়ির কাছে খুন হন কলেজছাত্র মোমিন। এ ঘটনায় তার বাবা আবদুর রাজ্জাক (প্রয়াত) ওসি রফিকসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১১ সালের জুলাইতে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মোমিন হত্যার দায়ে  ওসি রফিকুল ইসলামসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। বাকি ছয় আসামিকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

ওসি রফিক ছাড়া অন্য যে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- বরগুনার ছোট পাথরঘাটার মো. আ. মোতালেবের ছেলে সাখাওয়াৎ হোসেন জুয়েল ও বরিশালের খালিসা উত্তর পাড়ার মোতাহার আলীর ছেলে জিয়া ওরফে তারেক। তারা দু'জনই পলাতক।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর ওসি রফিকুল ইসলাম মারা গেছেন।

বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- কাফরুলের মফিজুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান তাজ, বরিশালের কয়েদি গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে মনির হাওলাদার, লক্ষ্মীপুরের নন্দনপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে বাবু (বর্তমান ঠিকানা- উত্তর ইব্রাহীমপুর, কাফরুল), কাফরুলের হায়াত আলীর ছেলে মো. জাফর, একই এলাকার মহিউদ্দিনের ছেলে মো. শরীফ উদ্দিন এবং হাসিবুল ইসলাম জনি। এদের মধ্যে মনির, জনি, জাফর ও শরীফ পলাতক।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে তাদের আরো ছয় মাস করে কারাভোগ করতে হবে।

বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাসদ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর নেতা, কমার্স কলেজের ছাত্র মোমিনকে তাদের উত্তর ইব্রাহীমপুরের বাসার সামনে খুন করে দুষ্কৃতকারীরা।

ওই খুনের ঘটনায় প্রথম তদন্তে কাফরুল থানার তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলামের সম্পৃক্ততা পুলিশ এড়িয়ে গেলেও পরে বিচার বিভাগীয় তদন্তে তার সম্পৃক্ততার পাওয়া যায়।

ঘটনার দিনই মোমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক ওসি রফিকসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওসি রফিককে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বাদী নারাজি আবেদন করেন। এরপর গোয়েন্দা পুলিশের পুনঃতদন্তেও নারাজি আবেদন দেন বাদী। পরে বিচার বিভাগীয় তদন্তে ওসি রফিকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মেলে।

(ঢাকাটাইমস/০৭ডিসেম্বর/এমএবি/জেবি)