আ.লীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে হরতাল পালিত

রাঙামাটি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:১৯

জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা অরবিন্দু চাকমাকে হত্যা ও বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাসেল মারমার সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে রাঙামাটি জেলা যুবলীগের ডাকে জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে। হরতাল চলাকালে জেলায় কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

হরতালের সমর্থনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা শহরসহ উপজেলাগুলোর সদরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পিকেটিং করে হরতাল আহবানকারী ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশসহ নিরাপত্তাবাহিনীর পর্যাপ্ত টহল ছিল লক্ষ্যণীয়। হরতালের কারণে শহরসহ জেলায় কোথাও কোনো প্রকার যান চলাচল করেনি।

বিকাল ৫টার দিকে বনরূপা শহরে বিএম মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে অবরোধ সমাপ্ত ঘোষণা করেন জেলা যুবলীগের সভাপতি ও রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী।

বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাতব্বর।

এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনার দুই দিন পার হলেও এখনও কোন মামলা হয়নি।

জুরাছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসেত বলেন, নিহত অরবিন্দু চাকমা পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করতে আসেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করলে পুলিশ মামলা করবে।

মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীর উপর সন্ত্রাসী হামলা: এদিকে বুধবার রাত দেড়টার দিকে শহরের ভালেদী আদাম (বিজয় নগর) এলাকায় নিজ বাড়িতে হামলা চালিয়ে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝরণা খীসাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।

আহত ঝরনা চাকমাকে রাতে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হয়।

তাকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি কোপায় দুর্বৃত্তরা। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শওকত আকবর জানিয়েছেন, ঝরণার বাম হাত ও ডান হাতের কয়েকটি আঙুল ভেঙেছে।

তবে এ ঘটনায় এখনও মামলা দেয়া হয়নি বলে জানান, রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যজিৎ বড়ুয়া।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে জুরাছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের সহ-সভাপতি অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। একই দিন বিকালে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাসেল মারমার উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। তিনিও বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। পৃথক এ দু’টি ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) কে দায়ী করেছে আওয়ামী লীগ।

ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে গত বুধবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। সমাবেশ থেকে বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয়া হয়।

অন্যদিকে পৃথক ঘটনায় একই দিন মঙ্গলবার সকালে আরেক জেলার নানিয়ারচর উপজেলার দজরপাড়া এলাকায় ইউপিডিএফের সমর্থক ও সাবেক ইউপি সদস্য অনাদী রঞ্জন চাকমাকে গুলি হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার জন্য সংগঠনটির বিভেদপন্থী ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) গ্রুপের ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে তোলা নব্য মুখোশবাহিনীর সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছে মূল ইউপিডিএফ ও তাদের সমর্থনপুষ্ট সংগঠনগুলো। ঘটনার প্রতিবাদে এবং খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি রুটে সড়ক ও নৌপথে বৃহস্পতিবার আধা বেলা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে মূল ইউপিডিএফ সমর্থনপুষ্ট নব্য মুখোশবাহিনী প্রতিরোধ কমিটি।

(ঢাকাটাইমস/৭ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :