পাঁচ মিনিট থেমে ছিল নেত্রকোণা
জেএমবির বোমা হামলায় আটজন নিহতের স্মরণে সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা- মৌলবাদের উত্থান রোধে নেত্রকোণায় ‘স্তব্ধ কর্মসূচি’ পালিত হয়েছে।
নেত্রকোণা ‘ট্র্যাজিডি দিবস উদযাপন কমিটি’র উদ্যোগে শুক্রবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে পাঁচ মিনিটের এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় জনসাধারণকে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে এবং যানবাহনগুলোকে থেমে থাকতে দেখা যায়।
পরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে প্রতিবাদী মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এর আগে শহরের অজহর রোডে জেলা উদীচী কার্যালয়ের পাশে বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে নির্মিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের মানুষ।
২০০৫ সালের এ দিনে শহরের অজহর রোডে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ও শতদলের কার্যালয়ের সামনে জেএমবির আত্মঘাতি বোমা হামলায় উদীচীর খাজা হায়দার হোসেন ও সুদীপ্তা পাল শেলীসহ আট জন নিহত হন, আহত হন অর্ধশতাধিক।
নেত্রকোণা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এই হামলায় হিন্দু জঙ্গি যাদব জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে এই হামলাকে ‘নিউ ডাইমেনশন’ বলেছিলেন।
পরে ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে তিনি তার সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করেন।
পুলিশের দায়ের করা বোমা হামলার মামলায় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ঢাকা-২ আদালত তিন জঙ্গি সালাউদ্দিন, আসাদুজ্জামান ও ফাহিমাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়।
বাংলা ভাই ও সানির অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এই দুইজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
নেত্রকোণা ট্র্যাজিডি দিবসের কর্মসূচিতে নেত্রকোণা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান খসরু, মুক্তিযোদ্ধা আককাস আহমেদ, কর্নেল (অব:) নূর খান, নেত্রকোণা ট্র্যাজিডি দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক বাচ্চু, সদস্য সচিব কামরুজ্জামান চৌধুরীসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সন্ধ্যায় শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হবে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মৌলবাদবিরোধী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
(ঢাকাটাইমস/৮ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)