মোবাইলে অর্থ লেনদেনে এগিয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:৫৩

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড থেকে আসাদুজ্জামান

২০১১ সালে বাংলাদেশে মোবাইলে অর্থলেনদেন সেবা চালু হয়। ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে ৭ হাজার মিলিয়ন মোবাইল অ‌্যাকাউন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এটি সারা বিশ্বের প্রেক্ষাপটে একটা অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইলে অর্থ লেনদেন সেবা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের চতুর্থ দিনে ‘দ্য প্রসপেক্ট অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেজ অব ডিজিটাল কারেন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে কি-নোট স্পিকারের বক্তব‌্যে এই তথ‌্য জানান, শিউর ক্যাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাহাদাত খান। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট তপন কান্তি সরকার।

সাহাদাত খান বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি সেবার পরিধি দ্রুত বিস্তারের ফলে দেশে অসংখ্য বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিকাশ, ইউক্যাশ, শিউরক্যাশ, রকেট, মাইক্যাশ এসব মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে প্রতদিন দেশে এক হাজার কোটি টাকা লেনদেন করা হচ্ছে।’

মোবাইলে অর্থ লেনদেনে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে সাহাদাত খান বলেন, ‘ডিজিটাল টেকনোলজিতে ব্যাংকিং সেবার জন্য বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বে সমাদৃত এবং যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেশি দেশ ভারতে গত সাত বছরে মোবাইলে অর্থ লেনদেন সেবা চালু করে যতটা সফলতা অর্জন করেছে, বাংলাদেশ তার চেয়ে সময়ে বেশি সফলতা পেয়েছে।

উন্নত বিশ্বের মধ্যে আমেরিকার চেয়ে চীন ও হংকং মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় এগিয়ে আছে বলে জানান তিনি।

ইসলামী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাহের আহমেদ চৌধুরী তার উপস্থাপনায় বিটকয়েন এবং দেশে এর ট্রানজেকশন নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘আগে দেশে বিট কয়েনের পেমেন্ট ব্যবস্থা বেশি পরিচিত ছিল না। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবার উন্নতির ফলে এখন অনেকটা আলোচনায় এসেছে।’

বিট কয়েনের বাজার মূল‌্য সম্পর্কে ধারণা দিয়ে তাহের আহমেদ চৌধুরি বলেন, ‘একটা বিট কয়েনের মূল‌্য গতকাল ছিল ১৩ হাজার মার্কিন ডলার সেটা আজ ১৬ হাজার ডলারে হাতবদল হচ্ছে।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ডিবিসি’র নিউজ এডিটর প্রণব শাহা, ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান টেকনোলজি অফিসার শ্যামল বি দাশ, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক এস এম মাইউদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাসেম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর ব্যবস্থাপক মো. আরিফ এলাহী, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী দেব দুলাল রায়, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এবং পূবালী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহম্মদ আলীসহ অন‌্যান‌্যরা।

(ঢাকাটাইমস/৯ডিসেম্বর/এজেড/এমআর)