রাষ্ট্রপতি যাচ্ছেন ইস্তান্বুলে, প্রধানমন্ত্রী প্যারিসে

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:৪০ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

একই সঙ্গে দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের বিদেশ সফর সচরাচর ঘটে না। তবে এবার তাই হতে যাচ্ছে।

চলতি সপ্তাহেই আলাদা সফরে দেশ ছাড়ছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইসলামি দেশগুলোর মোর্চা ওআইসির বিশেষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাষ্ট্রপতি যাচ্ছেন তুরস্কের ইস্তান্বুলে। আর ‘ওয়ান প্ল্যানেট সামিট’ এ যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন ফ্রান্সের প্যারিসে।

রবিবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। 

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিবাদে এই বিশেষ সম্মেলন ডেকেছে ওআইসি। আর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ, জাতিসংঘ মহাসচিব এন্টনিও গুটেরেস ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়াং কিমের যৌথ আমন্ত্রণে  প্যারিসে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

রাষ্ট্রপতির সফর

আগামী ১৩ ডিসেম্বর তুরস্কের রাজধানী ইস্তান্বুলে হবে ওআইসিও বিশেষ ইসলামি শীর্ষ সম্মেলন। সেদিনই ঢাকা ছাড়বেন রাষ্ট্রপতি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাস্পের ঘোষণার পর ওআইসির সভাপতি তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান সদস্য রাষ্ট্রসমূহের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের এক জরুরি বিশেষ শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করেছেন। এই সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকেও আমন্ত্রণপত্র পাঠান এরদোয়ান।

এ সম্মেলনের আগে আগামী ১২ ডিসেম্বর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সভা এবং ১৩ ডিসেম্বর পূর্বাহ্নে ওআইসি-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক সভারও আয়োজন করা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫ তম সম্মেলন (সিএফএম) ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আয়োজন করবে। শীর্ষ সম্মেলনটির এক সপ্তাহের মধ্যে তুরস্ক থেকে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের সফর সংঘটিত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সফর

আগামী ১১ থেকে ১৩ ডিসেম্বর প্যারিসে হবে ‘ওয়ান প্ল্যানেট সামিট’। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনের ২১ তম অধিবেশনে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি গৃহীত হয়। এই চুক্তির দুই বছর পূর্তিতে এই সামিটের আয়োজন করা হয়েছে।

এই সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশে ফিরবেন ১৪ ডিসেম্বর।

সামিটে বিশ্ব নেতারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ এবং তা অর্জনে উদ্ভাবনী ও বাস্তবায়নযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করবেন। সম্মেলনের হাই লেভেল সেগমেন্টে প্রধানমন্ত্রীসহ আমন্ত্রিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অংশগ্রহণ করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই সফরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ সঙ্গেও দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতা, নিয়মিত কূটনৈতিক আলোচনা অনুষ্ঠান, সমুদ্র অর্থনীতিতে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট উৎক্ষেপণসহ সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১০ডিসেম্বর/টিএ/ডব্লিউবি/জেবি)