ভাবীকে হত্যার দায়ে দেবরের ফাঁসি
রাজধানীর পল্লবীতে নিজের বড় ভাইয়ের স্ত্রী সায়েরা খাতুন আলোকে হত্যার অভিযোগে দেবর রাব্বি হোসেন মনা নামের এক ব্যক্তির ফাঁসির রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান কারাগারে থাকা ওই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দ-প্রাপ্ত রাব্বি পল্লবী থানাধীন নন লোকাল রিলিফ ক্যাম্পের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
রায় ঘোষণার আগে বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, বর্তমান সমাজে অহরহ খুনের ঘটনা ঘটছে। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকল্পে এ ধরনের মামলার আসামির উপযুক্ত বিচার হওয়া আবশ্যক। ফলে এই মামলার আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এ ধরনের নির্মম, নিষ্ঠুর ও নৃশংস হত্যাসহ এ-জাতীয় অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্তি দেয়া সম্ভব না। আসামি যে অপরাধ করেছে তা খুবই মর্মান্তিক, বিভীষিকাময়, নারকীয় এবং ভয়ংকর। এই অপরাধ সভ্য সমাজের মানুষের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য ও সহনীয় নয়। তার অপরাধ বর্বরতা ও সভ্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আসামিকে এই মামলার দ- দেয়ার ক্ষেত্রে আইনত বা ন্যায়ত কোনো সুযোগ বা আদালত থেকে আসামি কোনো ধরনের অনুকম্পা পেতে পারে না।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সায়েরা খাতুন আলো তার স্বামী সোহেলকে নিয়ে পল্লবীতে ভাড়া বাসায় বাস করতেন। আলো এমব্রয়ডারির কাজ করতেন। ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে আলোর বন্ধককৃত স্বর্ণের চেইন ছাড়ানোর জন্য তিনি দেবর রাব্বির সঙ্গে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হন। এরপর রাত সাড়ে আটটায় আলোর ফোন থেকে জানানো হয় তিনি খুন হয়েছেন। পরে পল্লবী থানার সেকশন-১১ তে আব্বাস উদ্দিন স্কুলের ঢালের ওপর আলোর মৃতদেহ পাওয়া হয়। তার শরীরে বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখতে পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে রাব্বি পলাতক ছিলেন।
এরপর নিহতের ভাই মো. শাহজালাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরবর্তীতে রাব্বি গ্রেপ্তার হয়ে ভাবি আলোকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। মামলাটির তদন্ত শেষে পল্লবী থানার এসআই আবদুল বাতেন ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
(ঢাকাটাইমস/১০ডিসেম্বর/মোআ)