কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা: প্রধান আসামির মৃত্যু
প্রেমের ফাঁদে ফেলে বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির প্যাথলজি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া আক্তারকে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিরাজুল ইসলাম মারা গেছেন।
শনিবার রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
সিরাজুল মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া গ্রামের ইব্রহীম হাওলাদারের ছেলে।
জানা গেছে, গত ২ ডিসেম্বর দুপুরে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় সিরাজুলকে বরিশাল কোতোয়ালি থানার পুলিশ উপজেলার বড়মাছুয়া বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর সিরাজুলকে আদালতে সোপর্দ কর হয়। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এদিকে গত ৮ ডিসেম্বর সিরাজুল জেলহাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে শনিবার গভীর রাতে মারা যান।
সিরাজুলের মৃত্যুর বিষয়টি মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তারিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বরিশাল কোতোয়ালি থানা থেকে মঠবাড়িয়া থানায় সিরাজুলের মৃত্যুর বিষয় বার্তা পাঠিয়েছে। তার পরিবারকেও জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের দেফুলিয়া খান বাড়ির আলমগীর হোসেন খানের কন্যা সাদিয়া আক্তার কলেজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ২২ নভেম্বর বরিশাল কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে ওই জিডির সূত্র ধরে এবং ওই ছাত্রীর মোবাইল নাম্বার ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ তথ্যের ভিত্তিতে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় সিরাজকে গ্রেপ্তার করে।
(ঢাকাটাইমস/১০ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)