অ্যাপিকটায় ১৫ অ্যাওয়ার্ড পেল বাংলাদেশ

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:৫৮

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এশীয় প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের ‘অস্কার’ খ্যাত অ্যাপিকটায় বাংলাদেশ মেরিটে ১৪ এবং একটি উইনার পুরস্কার পেয়েছে।

রবিববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অ্যাপিকটা পুরস্কার অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

১৭তম অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডে ১৭ ক্যাটাগরিতে উইনার হয়েছে ১৭ প্রকল্প। এছাড়াও মেরিট ক্যাটাগরিতে মোট ৪৭ প্রকল্প পুরস্কার জিতেছে।

বাংলাদেশ ছাড়াও  হংকং উইনার হিসেবে ৪, মেরিটে ৫টি; শ্রীলঙ্কা ৩টি উইনার, ৬টি মেরিট; থাইল্যান্ড ও চীন দুই বিভাগে দুটি করে; মালয়েশিয়া উইনার এক এবং মেরিটে আটটি পুরস্কার পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়া উইনার ১ এবং মেরিটে ৩টি, চাইনিজ তাইপে ও সিঙ্গাপুর দুই বিভাগেই একটি করে দুটি, পাকিস্তান উইনারে একটি, ইন্দোনেশিয়া মেরিটে ৫টি এবং ব্রুনাই ও ভিয়েতনাম মেরিটে একটি করে পুরস্কার জেতে।

এবারের অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ড আসর ১৭তম। যেখানে অংশগ্রহণকারী ১৬ দেশের প্রতিযোগীরা ১৭ ক্যাটাগরিতে ১৪১  প্রকল্প জমা দেয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ছিল  ৪৭টি প্রকল্পে ১৬৬ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। আর বিদেশি প্রতিযোগির সংখ্যা ছিল ৩৬৬ জন। সেখান থেকেই বাংলাদেশ ১৫টি পুরস্কার পায়।

অস্ট্রেলিয়া থেকে ৬, ব্রুনেই ৭, চীন ৩৯, তাইওয়ান ৩৬, হংকং ২৬, ইন্দোনেশিয়া ২১, মালেয়শিয়া ৫০, পাকিস্তান ২১, সিঙ্গাপুর ৫, শ্রীলঙ্কা ৩৭, থাইল্যান্ড ৩০, ভিয়েতনাম ৬, অন্যান্য থেকে ৬টি প্রকল্প প্রতিযোগিতায় জমা দেয়।

এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স (অ্যাপিকটা) নামের ১৬ দেশের এই সংগঠন প্রতি বছর এই পুরস্কার দেয়। সদস্য পদ লাভের দুই বছরের মাথায় বাংলাদেশ এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজক হতে পেরেছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর যৌথ আয়োজক হিসেবে ৭ ডিসেম্বর শুরু হয় এ অনুষ্ঠান।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

অর্থমন্ত্রী অ্যাপিকটা সদস্য হওয়ার মাত্র দুই বছরের মধ্যে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস সফলভাবে আয়োজন করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ আইসিটি খাতে সমগ্র বিশ্বে উদীয়মান শক্তি হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। অ্যাপিকটাভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ও আগামীতে রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাতে পেরেছেন। তাদের মনে আশার সঞ্চার করেছেন। যে কারণে মাত্র ১৩ বছরের মধ্যে দেশকে একটি প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দিকে নিতে সক্ষম স্বপ্ন দেখেছি আমরা। ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও অধিক রপ্তানি আয় করতে সক্ষম হয়েছি। ২০১৮ সাল নাগাদ বেসিসের ওয়ান বাংলাদেশ ভিশনের অন্যতম লক্ষ্য এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় করতে চাই।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক, বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার এবং বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও ১৭তম অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ঢাকা ২০১৭ এর আহ্বায়ক রাসেল টি আহমেদ।

২০১৫ সালে বেসিস অ্যাপিকটার সদস্যপদ লাভ করে। সদস্য হওয়ার পর বাংলাদেশে দু’বার কার্যনির্বাহী কমিটির সভা হয়েছে। ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ পুরস্কারও জিতেছে। সদস্যপদ পাওয়ার মাত্র ২ বছরের মধ্যে অর্থাৎ নবীনতম সদস্য হিসেবে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস এর এই আয়োজন অ্যাপিকটার ইতিহাসে প্রথম।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/এজেড)