ইসরায়েলকে অবৈধ দখল বন্ধের আহ্বান ফরাসি প্রেসিডেন্টের
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। পাশাপাশি তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে জেরুজালেমে অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
রবিবার প্যারিসে অনুষ্ঠিত নেতানিয়াহু-ম্যাক্রন বৈঠকের পর এক যৌথ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ইসরায়েলের নেতাকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সমঝোতা করারও কথা বলেন তিনি।
ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেন, ‘ফ্রান্স বিশ্বাস করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুর একমাত্র সমাধান হচ্ছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে শান্তিতে বসবাস করা। আর এটি হতে পারে শুধুমাত্র সমঝোতার মাধ্যমে।’
‘আমি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি ফিলিস্তিনের বিষয়ে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলমান অচলাবস্থার নিরসন করার জন্য।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সতর্কতা সত্ত্বেও গত বুধবার জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণাও দেন ট্রাম্প। তার এই ঘোষণার চারদিন পর প্যারিস সফরে আসলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
ট্রাম্পের একতরফা সিদ্ধান্তে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর পরই ফিলিস্তিনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দেশে ট্রাম্প বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ের ম্যাক্রন ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে গভীরভাবে অসমর্থন জানিয়েছে বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।’
তিনি আরো বলেছেন, শান্তির ইঙ্গিত দিতে ইসরায়েলকে অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে।
কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, বাস্তবতার নিরিখে ট্রাম্প জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে অবশ্যই মেনে নেয়া উচিত।
নেতানিয়াহু আবারো বলেছেন, ‘গত ৩০০০ বছর ধরেই জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী ছিল এবং এটি কখনোই আর কারো রাজধানী ছিল না।ফিলিস্তিন যত তাড়াতাড়ি এই বাস্তবতাকে মেনে নেবে, তত তাড়াতাড়ি আমরা শান্তির পথে এগুতে পারব।’
(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/এসআই)