অকাল বৃষ্টিতে বরগুনায় সবজি চাষিদের মাথায় হাত

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৩:৫৭ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:০৫

নাঈমুল হাসান রাসেল, ঢাকাটাইমস

বরগুনায় শত শত আলু চাষিসহ সবজি চাষিদের স্বপ্ন মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে অগ্রহায়ণের অকাল বৃষ্টি। গত তিন দিনের বৃষ্টিতে বেশির ভাগ ফসলের ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি এখন চরম ঝুঁকিতে। 

জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অগ্রহায়ণের এ অকাল বৃষ্টির কবলে পড়ে জেলার চার হাজার ৫০০ হেক্টর জমির আমন ধান, ১৪ হাজার হেক্টর জমির খেসারি, এক হাজার ২০০ হেক্টর জমির সবজি এবং ৮৫ হেক্টর জমির আলুর ক্ষেত ইতোমধ্যেই বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের রূপধন গ্রামের আলু চাষি আব্দুল বারেক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সারাদিন অটোরিকশা চালাই। রিকশা চালানোর ফাঁকে ফাঁকে স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে নিজের ৪০ শতাংশ জমিতে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ করে আলুর চাষ করেছিলাম। গত তিন দিনের বৃষ্টিতে পুরো ক্ষেতই এখন পানির নিচে। বীজ আলু আর উঠবে বলে মনে হয় না। এবারে একমাত্র অবলম্বন রিকশাটি বিক্রি করেই হয়ত আমার ঋণ শোধ করতে হবে।’

একই বক্তব্য দিয়েছেন রূপধন গ্রামের সবজি চাষি নূরুল আলম, আজিজ হাওলাদার, রহিম গাজী এবং নুরুদ্দিন হাওলাদার।

৮নং বরগুনা সদর ইউনিয়নের হেউলিবুনিয়া-কড়ইতলা গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আরিফ খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘গত তিন দিনে থেমে থেমে প্রায় সারা দিন ধরেই হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে বরগুনায়। এ বৃষ্টিতে তার ১২০ ঝার কুমরো, ৬০ ঝার, চাল কুমরো, ৪০ ঝার করলা, ৪০ ঝার লাউ, ৬০ ঝার তাল বেগুন, ৪০ ঝার মরিচ এবং ৮০ ঝার টমেটোর সবটাই নষ্ট হয়ে গেছে। আজও আকাশ রয়েছে থমথমে। থেমে থেমে চলছে বৃষ্টি।’ এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে কোনো জমির ফসলই আর অবশিষ্ট থাকবে না বলে জানান তিনি।

বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাইনুর আজম খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অবশিষ্ট ফসলি জমি যাতে নষ্ট না হয় সে জন্যে ইতোমধ্যেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সরাসরি মাঠে উপস্থিত হয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।’ বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পাবে বলে তিনি জানান।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)