আসামি ছিনিয়ে নেয়ায় নুরপুরে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৪৭

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে পুলিশের ওপর হামলা মামলায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে পুরো গ্রাম। গ্রেপ্তার ভয়ে বাড়ি ছাড়ছেন নারীও। পুলিশি আতঙ্কে নারী-পুরুষ শূন্য থাকায় দুষ্কৃতিকারীরা ফাঁকা বাড়িতে চুরি করে মূল্যবান মালামাল নিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

গত ৯ ডিসেম্বর ঘটনার দিন রাতেই আখাউড়া থানার সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক শরীফ কামরুল হাসান বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়া পরা আসামি ছিনিয়ে নেয়ায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই ঘটনায় পুলিশ নুরপুর গ্রামের অজ্ঞাত আরো ২০ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়ার ছেলে একাধিক মাদক মামলার চিহ্নিত আসামি আলামিন বাড়িতে অবস্থান করছে। এমন গোপন সংবাদে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে নুরপুর তার বাড়িতে অভিযান চালায়। তাকে গ্রেপ্তার করা হলে সে এবং তার স্ত্রী তাহমিনাসহ বাড়ির অন্য লোকজন মিলে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সুযোগে হাতকড়া পরা আলামিন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ওই হামলায় এএসআই শরীফ কামরুল হাসান ও পুলিশ কনস্টেবল শামীম আহত হন।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে আখাউড়া থানার এএসআই শরীফ কামরুল হাসান বাদী হয়ে আলামিনকে প্রথম ও তার স্ত্রী তাহমিনাকে দ্বিতীয় আসামি করে এবং আরো পাঁচজন নারীসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গ্রামের আরো অজ্ঞাতনামা ২০ জনকে আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করেন।

আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জালাল উদ্দিন জানান, পুলিশের ওপর হামলা মামলার পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরো গ্রাম নারী ও পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। গ্রামের সিংহভাগ বাড়ি-ঘরের দরজায় তালা ঝুলছে। সন্ধ্যা হলেই গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনসহ নানা স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। আবার অনেকেই ঘটনার পর থেকেই অজানা স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এলাকার দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তবে চেয়ারম্যানের দাবি, এ ঘটনায় কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে যেন পুলিশ হয়রানি না করে।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন তরফদার বলেন, পুলিশের ওপর হামলাকারী গ্রামবাসী পালিয়ে থাকবে- এটাই স্বাভাবিক। তবে নির্দোষ কোন ব্যক্তিকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হবে না।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)