জুরাছড়ি আ.লীগে তিন দিনের ব্যবধানে ১৭৫ জনের পদত্যাগ

রাঙামাটি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:৪৩ | প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:৩৯

পদত্যাগের হিড়িক থামছে না জুরাছড়ি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোতে। গত তিন দিনের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর ১৭৫ জন পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার পদত্যাগ করেছেন ৫২ জন। এর আগে রবিবার পদত্যাগ করেন ১১১ জন এবং শনিবার করে ১২ জন।

সোমবার পদত্যাগ করা নেতাদের মধ্যে জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লাল বিহারী চাকমা, মৈদং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান বরুণ তালুকদার, দুমদুম্যা ইউনিয়নের জ্যেষ্ঠ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তরুণ মনি চাকমা, জুরাছড়ি ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য কিরণ কুমার চাকমা, মহিলা লীগের সহ সভাপতি জ্যোস্না চাকমা, ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি চন্দা চাকমা, সাধারণ সম্পাদক তারকা চাকমা।

এদিকে সব সদস্য পদত্যাগ করায় বিলুপ্তি ঘটেছে উপজেলা কৃষকলীগের।

রবিবার পদত্যাগ করা উপজেলার প্রথম সারির নেতার মধ্যে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক মায়া নন্দ দেওয়ান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সন্তোষ দেওয়ান, যুবলীগের সহ-সভাপতি মিঠুন চাকমা, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জতির ময় চাকমা, কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক বঙিম চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইকেল চাকমা, দপ্তর সম্পাদক বন চন্দ্র চাকমা, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নীল পুতি চাকমা, কার্যকরী কমিটির সদস্য সন্তোষ চাকমা, সুনীল কান্তি চাকমা, দয়ামুনি চাকমা, অরুণ কান্তি চাকমা, জুরাছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাকন মোহন চাকমা, সদস্য মোহর চাকমা।

পদত্যাগকারীরা বলেন, তারা সবাই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে দলীয় সকল কার্যক্রম থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন। দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে পদত্যাগপত্র স্ব-স্ব সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

উপজেলা ও জেলা সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা পদত্যাগের বিষয়ে অনেকে সত্যতা স্বীকার করেছেন। অনেকে শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ ডিসেম্বর জুরাছড়ি দেবাছড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা পদত্যাগ করা শুরু করেন।

এদিকে শনিবার রাতে জুরাছড়ি নেতা-কর্মীদের পদত্যাগে উদ্বেগ জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ একটি বিবৃতি দিয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাতব্বরের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে জানানো হয়, জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের নেতা-কর্মীদের হত্যার ভয় দেখিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে। তবে জনসংহতি সমিতি বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :