‌বিয়েবার্ষিকীতে হুমায়ূনকে নিয়ে শাওনের স্মৃতিচারণা

বিনোদন প্রতিবেদক
| আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:০৫ | প্রকাশিত : ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:৪১

আজ হহুমায়ূন আহমেদ আর শাওনের ১৩তম বিয়েবার্ষিকী। ২০০৪ সালের ১২ ডিসেম্বর তারা বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। দিনটি স্মরণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন শাওন। স্ট্যাটাসে বিয়ের দিনের অনেক অজানা কথা লিখেছেন জনপ্রিয় সাহিত্যিক ও নির্মাতা প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী।

হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে শাওনের সেই স্মৃতিচারণামূলক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তলে ধরা হলো।

‘১৩ সংখ্যাটা আমার জন্য সবচেয়ে শুভ। আমার জীবনের প্রিয় মানুষটির জন্ম ১৩ তারিখ। আমাদের বিয়ের তারিখও ১৩ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ হহুমায়ূন ভাবলেন, এক দিন আগেই বিয়ে করবেন। আজ ১২ ডিসেম্বর, আমাদের বিয়ের তারিখ।’

শাওন লিখেছেন, ‘খুব সাদামাটাভাবেই হওয়ার কথা ছিল আমার বিয়েটা। ভেবেছিলাম কোনো রকম একটা শাড়ি পরে তিনবার কবুল বলা আর একটা নীল রঙের কাগজে কয়েকটা সাইন।’

হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করে শাওন লিখেছেন, ‘আজ ১২ ডিসেম্বর। ২০০৪ সালের এই দিনে কুসুম (‘শ্রাবণ মেঘের দিনে’ ছবিতে শাওনের চরিত্রের নাম) আর হুমায়ূন নতুন জীবন শুরু করে। কুসুম তার জীবনের সবচেয়ে শুভ ১৩ বছর পার করেছে। কুসুমকে শুভেচ্ছা। কুসুমের ‌হুমায়ূনকে শুভেচ্ছা।’

বিয়ের আগের দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শাওন লিখেছেন, ‘১১ ডিসেম্বর হুমায়ূন আমাকে জোর করে পাঠালেন নিউমার্কেটে, উদ্দেশ্য একটা হলুদ শাড়ি কিনে আনা, যেন সন্ধ্যায় আমি হলুদ শাড়ি পড়ে নিজের গায়ে একটু হলুদ মাখি। বললেন, ‘তোমার নিশ্চয়ই বিয়ে নিয়ে, গায়েহলুদ নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। আমাকে বিয়ে করার কারণে কোনোটাই পূরণ হচ্ছে না। আমি খুবই লজ্জিত। তারপরও আমি চাই, আজ সন্ধ্যায় তুমি হলুদ শাড়ি পরে ফুল দিয়ে সাজবে, নিজের জন্য, তোমার ভবিষ্যৎ সন্তানের জন্য, আমার জন্য। আমরা দুজন মিলে আজ গায়েহলুদ করব।” আমি একা একা শাড়ি কিনেছি। গাঁদা ফুলের মালা কিনেছি। কী মনে করে একটা লাল পাঞ্জাবিও কিনেছি।’

শাওন আরও লিখেছেন, ‘সন্ধ্যায় নিজে নিজে সেজেছি। বাথরুমের আয়নায় নিজেকে দেখে আমার চোখ ফেটে পানি চলে আসে। চোখ মুছে খোঁপায়-কানে গাঁদা ফুলের মালা গুঁজেছি। হঠাৎ শুনি দরজায় ধুমধাম শব্দ। দরজা খুলে বেরিয়ে দেখি ডালা কুলো হাতে মাজহার ভাইয়ের স্ত্রী স্বর্ণা ভাবি, পাশে তিন বছরের ছোট্ট অমিয়, একটু দূরে লাল পাঞ্জাবি পরে হুমায়ূন ঠোঁট টিপে হাসছেন। হইহই করে ঘরে ঢুকলেন হুমায়ূনের আরও বন্ধু আর তাদের স্ত্রীরা। তারা আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যান পাশের রুমে।’

সেদিনের কথা উল্লেখ করে শাওন লিখেছেন, ‘চার-পাঁচটা প্রদীপ দিয়ে সাজানো ছোট্ট একটি রুমের পাশ। সেখানে হলুদের কী স্নিগ্ধ ছিমছাম আয়োজন! লেখক মইনুল আহসান সাবের ভাইয়ের স্ত্রী কেয়া ভাবি আর মাজহার (প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম) ভাইয়ের স্ত্রী স্বর্ণা ভাবি আমার আর হুমায়ূনের হাতে রাখি পরালেন। সে কী খুনসুটি! সে কী আহ্লাদ! সে এক অন্য রকম গায়েহলুদ। আরেক ভাবি নামিরা সব মেয়ের হাতে মেহেদি দিয়ে দেন। আমার আর হুমায়ূনের দুই গাল কাঁচা হলুদে রাঙা।’

(ঢাকাটাইমস/১২ডিসেম্বর/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :