এক্সিকিউটিভ ইন: এক ছাদের তলায় কাঙ্ক্ষিত সেবা

এম এইচ আলম
| আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:৪৩ | প্রকাশিত : ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:০২

নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ জীবন আমাদের অনেককেই হাপিয়ে তুলে। যান্ত্রিক জীবনের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পেতে কেউ ঘুরতে যান শহরের বাইরের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র বা রিসোর্টে। যাদের সময় কম তারা চলে আসেন শহরের বিভিন্ন হোটেলে। ভিন্ন স্বাদের খাবার কিংবা রাতের ঝলমল শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করতেই এসব হোটেলে আসেন শহরের কর্মব্যস্ত মানুষ।

ভিন্ন স্বাদের দেশি ও বিদেশি খাবার, রাতের আলো ঝলমলে শহর দেখতে একবার ঘুরে আসতে পারেন রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত হোটেল এক্সিকিউটিভ ইন থেকে। বিদেশি অতিথি বেশি আসলেও এখানে পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আসা অতিথির সংখ্যাও কম নয়।

ক্লান্তি নিয়ে যখন আপনি হোটেলে পৌঁছাবেন ওয়েলকাম ড্রিংকস আর কর্মীদের আন্তরিক সেবা আপনার ক্লান্তিকে অনেকটাই ম্লান করে দেবে। আগে থেকেই রুম বুকিং থাকলে অল্প সময়েই আপনি পৌঁছে যাবেন নিজ কক্ষে। অসাধারণ ইন্টিরিয়র ডেকোরেশন, সুপরিসর রুম, জানালা দিয়ে ঝলমলে রাতের শহর দেখার সুযোগ আপনাকে পুলকিত করবে। সার্মথ্য বিবেচনায় এক্সিকিউটিভ, বিজনেস বা সুপিরিয়র ক্যাটাগরির রুম পছন্দ করতে পারেন। তিন ধরনের রুমের খরচ হবে ভিন্ন ভিন্ন, তবে কমপক্ষে ৬০০০ টাকা। তবে হোটেলে দীর্ঘ সময় অবস্থান করলে খরচ আরও কমবে।

আপনি যদি ব্যবসায়ী হন আর যদি লক্ষ্য হয় ব্যবসায়িক মিটিং সেই সুবিধাও থাকছে। হোটেলের আলোচনা কক্ষে সেরে নিতে পারেন মিটিং। কাজের পাশাপাশি অতিথির কাছে খাবারও সমান গুরুত্ব রাখে। থাই, ইন্ডিয়ান এবং কন্টিনেন্টাল খাবারের আয়োজন পাবেন এখানে। অনেক বিদেশিরা দেশীয় খাবার পছন্দ করেন। বিদেশি অতিথির পাশাপাশি ভিন্ন স্বাদের দেশীয় খাবারও বেছে নিতে পারবেন স্থানীয় অতিথিরা। খাবারের মান নিয়ে নির্ভাবনায় থাকতে পারেন। আন্তর্জাতিক মানের শেফরা দক্ষ হাতে তৈরি করেন আপনার খাবার। বুফে আইটেম থেকে সেরে ফেলতে পারেন সকালের নাস্তা।

ঘুরতে আসলে অনেকেই কেনাকাটা পছন্দ করেন। বিশেষ করে বিদেশিরা। তারা দেশীয় পণ্য অনেক পছন্দ করেন। অভিজাত এলাকা হওয়ায় কেনাকাটার সব জিনিস পাওয়া যাবে হাতের নাগালেই। অল্প দূরত্বে দূতাবাস হওয়ায় হোটেল হতে ভিসা বা বিদেশ গমনের কাজ সহজেই করতে পারবেন বিদেশি অতিথিরা। এমন সুবিধা নিতে পারেন আপনিও।

হোটেল থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দূরত্ব কেবল ১৫ মিনিটের হওয়ায় বিদেশি অতিথিরা স্বল্প সময়ে পৌঁছাতে পারবেন। বিদেশি অতিথিরা প্রয়োজনে এয়ারপোর্ট পিক আপ বা ড্রপের সুবিধা নিতে পারবেন। নিতে পারেন নিরাপত্তার সুবিধাও। আপনি যদি দেশের অভ্যন্তরের কোনো গন্তব্যে বিমানে যেতে চান সেক্ষেত্রেও অল্প সময়েই পৌঁছে যাবেন অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেলে এখানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আপনার কিংবা বিদেশি অতিথির উদ্দেশ্য সহজেই হাসিল হয়ে যাবে।

সামনে আসছে বড় দিন ও নতুন ইংরেজি বছর। এখন পর্যন্ত কোনো ছাড় বা প্যাকেজ না থাকলেও রুম বুকিংয়ে ছাড়ের সম্ভাবনা আছে। এই সুযোগটি সামনে রেখে একবার ঢুঁ মেরে আসতে পারেন হোটেল এক্সিকিউটিভ ইনে। বিশেষ কোনো প্যাকেজ আছে কি না সেটি দেখতে এক্সিকিউটিভ ইনের ওয়েবসাইট একবার ঘুরে আসুন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ব্যবসায়ের সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে খান বাহাদুর গ্রুপ রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা গুলশান-২ চালু করে হোটেল এক্সিকিউটিভ ইন।

(ঢাকাটাইমস/১২ডিসেম্বর/এমএম/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :