লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, উত্তেজনা

প্রকাশ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:৪৩

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ জুয়েলের লাশের সন্ধান ও ‘র‌্যাবে’র গুলিতে চার নেতাকর্মী নিহতের স্মরণে লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে  শহরের আদর্শ সামাদ একাডেমির মসজিদ মাঠে বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূইয়ার নেতৃত্বে নিখোঁজ জেলা যুবদল নেতা ইকবাল মাহমুদ জুয়েলের সন্ধান ও নিহত বিএনপি নেতাকর্মীদের স্মরণে এক মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা হয়।

এসময় বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ সামছুল আলম, জেলা বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, নিজাম উদ্দিন ভূইয়া, মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, এবিএম জিলানীসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিকদলের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবুর বাসভবনের সামনে এর আগে নিহতের স্মরণ ও নিখোঁজ যুবদল নেতা জুয়েলের লাশের সন্ধানের দাবিতে এক সমাবেশ হয়। এ সময় বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ ব্যাপারী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন প্রমুখ।

এসময় সমাবেশে ছিলেন জেলা ও উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও কৃষকদলসহ অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।

বিএনপি নেতাকর্মী ও নিহতদের স্বজনরা অভিযোগ করেন, গত ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর সকাল ৭টার দিকে জুয়েলের নেতৃত্বে যুবদল নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে জেলা শহরের চকবাজার এলাকায় পৌঁছলে র‌্যাব-১১ এ লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদের নেতৃত্বে র‌্যাবের সদস্যরা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় জেলা বিএনপির সাহাবুদ্দিন সাবুর বাসভবনে ডুকে গুলি করে সাহাবুদ্দিন সাবুকে আহত করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে যুবদল নেতা জুয়েলের নেতৃত্বে একটি মিছিল চকবাজার থেকে সাহাবুদ্দিন সাবুর বাসভবনের দিকে যাওয়ার সময় মিছিলের উপর অতর্কিত গুলি করেন র‌্যাব সদস্যরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে জুয়েলের লাশ র‌্যাবের গাড়িতে তুলে নেয়া হয়। আজো তার কোন লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে শহর ও আশাপাশ এলাকায় র‌্যাব ও জামায়াত বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়। এসময় র‌্যাবের গুলিতে লাহারকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম, বিএনপি কর্মী সুমন ও শিবির কর্মী শিহাবসহ চারজন নিহত হয়। গত চার বছরেও জুয়েলের লাশ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হতাশায় ভুগছেন। সন্তান নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটছে জুয়েলের পরিবারের। তার সন্ধান না পাওয়ায় সন্তানদের স্কুলে ভর্তি ও ব্যাংক বীমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সমস্যায় পড়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১২ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)