পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ

প্রকাশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:১৫ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:১৯

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

সম্প্রতী সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত আইসিসি সভায় আগামী চার বছরের জন্য ফিউচার ট্যুর প্ল্যান প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন এফটিপি অনুযায়ী পাকিস্তানের জন্য চার বছরে মাত্র ২৮টি টেস্ট ম্যাচ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তাদের সাথে কম টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া অপর শীর্ষ দল হলো নিউজিল্যান্ড। তবে জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড শীর্ষ দলগুলোর বাইরে এই চার বছরে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলবে।  শুধু টেস্ট নয়, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অনেক পিছিয়ে থাকবে তারা। এফটিপির এই বরাদ্দে হতাশাব্যক্ত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। অন্যদিকে সম্মানজনক হারে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।

অথচ তার বিপরীতে ভারত খেলবে ৩৭টি টেস্ট। ইংল্যান্ড সর্বোচ্চ ৪৬টি ও অস্ট্রেলিয়া খেলবে ৪০টি। বাংলাদেশের সামনে আছে ৩৫টি টেস্ট খেলার সুযোগ, যার থেকে পাকিস্তান প্রায় ২৫ শতাংশেরও কম ম্যাচ খেলবে।

নয়া এফটিপিতে সবচেয়ে কম ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ৩৮টি ওয়ানডে ম্যাচ। আশ্চর্য্যরে বিষয় হলো আফগানিস্তান (৪১), জিম্বাবুয়ে (৪০) ও আয়ারল্যান্ডও (৪২) পাকিস্তানের থেকে বেশী ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশ খেলবে ৪৫টি ম্যাচ। সর্বোচ্চ ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের জন্য ধরা হয়েছে ৬২টি ম্যাচ। শ্রীলংকা খেলবে ৪৮টি। অন্যদিকে ভারত খেলবে ৬১টি। এই চার বছরে পাকিস্তান ৩৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে এটাও অন্য দলগুলোর তুলনায় সর্বনিন্ম। এমনকি আয়ারল্যান্ডও তাদের থেকে ৬টি বেশী টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। ভারত খেলবে ৬১টি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫৫টি ও নিউজিল্যান্ড ৪৯টি।  বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা  শ্রীলঙ্কা খেলবে ৪২টি করে।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান নাজাম শেঠী বলেছেন,‘ ভারতের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে যে বিরোধ দেখা দিয়েছে তা নিষ্পত্তি হবার পরেই তারা কেবল এই এফটিপিতে সম্মতি জানাবে। হয়  ভারত দ্বিপাক্ষিক সিরিজ পুনরায় শুরু করার ব্যপারে মত দিবে। অথবা আইসিসির আইন ভঙ্গের কারনে পাকিস্তানের দাবীকৃত ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিবে।

পিসিবির সাবেক প্রধান নির্বাহী আরিফ আলি আব্বাসী নতুন এফটিপি নিয়ে দারুন হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন,‘পিসিবিকে আইসিসির এই ধরনের হেনস্থা করার অর্থই হচ্ছে পিসিবির সাংগঠনিক দক্ষতার অভাব। তারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। সে কারনেই এখন আর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আইসিসিকে চ্যালেঞ্জ করার কোন অর্থ নেই। আইসিসি এ ব্যপারে কিছুই করবে না, বিসিসিআই’ও তাদের সরকারের বিরুদ্ধে যাবেনা।’

আব্বাসী মনে করেন আইসিসি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলে গেছে। তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে ২০১৭ সালে বিভিন্ন ফর্মেটে পাকিস্তান র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ছিল। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও তারা জিতেছে। কিন্তু তার পরেও কিভাবে সব ফর্মেটে এত কম ম্যাচ পায় পাকিস্তান। এই এফটিপি ২০১৯ সাল থেকে কার্যকর হবে। সে কারনেই এখনো আইসিসির হাতে এই প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে অনেক সময় রয়েছে।

 (ঢাকাটাইমস/১৪ডিসেম্বর/ডিএইচ)