চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির সত্যতা মিলেছে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ইনস্টিটিউটের শিক্ষক রফিকুল হকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পওয়া গেছে।
তিন সদস্যের ‘অভিযোগ ও তথ্য অনুসন্ধান কমিটি’র ৩৯৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে যৌন হয়রানির এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রথমে তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা পরে অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৬ নভেম্বর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি অনুসন্ধান শেষে ১২ ডিসেম্বর তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে ফরেস্ট্রি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক দানেশ মিয়া বলেন, আমরা প্রায় ১৫০ জনেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীর সাক্ষ্য নিয়েছি। অনুসন্ধানে আমাদের কমিটি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির প্রাথমিক সত্যতা পায়। এ সংক্রান্ত ৩৯৬ পৃষ্ঠার বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন আমরা প্রশাসনকে জমা দিয়েছি।
এ ঘটনার পরবর্তী কার্যক্রম কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুরো প্রতিবেদনটি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করব। এসময় ওই শিক্ষকের একাডেমিক কার্যক্রমে বিরত থাকার নির্দেশনা বলবৎ থাকবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২ নভেম্বর লোহাগাড়া (চুনতি) ফাইস্যাখালী, ইনানী ও টেকনাফের উদ্দেশে শিক্ষা সফরে যায় ইনস্টিটিউটের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক প্রফেসর রফিকুল হক। ওই শিক্ষা সফরের সময় তিনি ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরাও একই অভিযোগ করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৪ডিসেম্বর/আইকে/জেবি)