একদলীয় নির্বাচন বুদ্ধিজীবীদের চেতনাকে হত্যা: বিএনপি
প্রকাশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৭ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:২৮
বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন হলে সেটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী হবে বলে দাবি করেছে বিএনপি। সেটি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চেতনাকে হত্যার চেষ্টা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন দলটির একজন শীর্ষ নেতা।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে আগে পাকিস্তানি বাহিনীর এ দেশীয় দোসর আলবদর বাহিনীর বুদ্ধিজীবী হত্যার স্মরণে বৃহস্পতিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা ২০১৪ সালে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করেছে। এবারও যদি সেই ধরনের নির্বাচনের চেষ্টা করা হয় তাহলে সে চেষ্টা হবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা, মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চেতনাকে হত্যার চেষ্টা।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশাররফ বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।’
মোশাররফের অভিযোগ দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। তবে খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।
‘একটি কথা স্পষ্ট দেশে আগামী নির্বাচন হবে সকল দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। ২০১৪ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে বেকারদের কর্মসংস্থান হবে, সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু আজ সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ দুরের কথা বরং একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল একদলীয় শাসন চালাচ্ছে।’
খালেদা জিয়া সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে বারবার সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, ‘কিন্তু তারা কোন সাড়া দিচ্ছে না। তাই আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে। আন্দোলনের পাশাপাশি ও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ আমরা জানি কোন স্বৈরাচারী সরকারের কাছ থেকে সমঝোতার মাধ্যমে কিছু আশা করা যায় না।’
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অনির্বাচিত সংসদ দিয়ে তৈরি সংবিধান দেশের মানুষ সমর্থন করে না। তাই সংবিধানের বুলি না তুলে সংলাগের উদ্যোগ নিন। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ইসির পরিচালনায় নির্বাচন দিন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ এ সময় বক্তব্য দেন।
(ঢাকাটইমস/১৪ ডিসেম্বর/বিইউ/ডব্লিউবি)