রাজাকার, বদর ও শামস বাহিনীর সদস্যদের বিচার দাবি

প্রকাশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ২১:৫৫

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গার সর্বস্তরের মানুষ। এ সময় তারা রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনীর সদস্যদেরও বিচার দাবি করেন।

বৃহস্পতিবার দিনভর জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাভরে তাদের স্মরণ করেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

বিকালে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে শহীদ দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করেন জেলা আওয়ামী লীগ। সেখানে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগাঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান ও প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস আরা সুন্না ও মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী কহিনুর বেগম।

সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্জলন করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় জেলা প্রশাসকসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদ, জেলা আওয়ামী মহিলালীগসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করা হয়।

পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ হাসান চত্বরের মুক্ত মঞ্চে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতি. পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নওরোজ মোহাম্মদ সাইদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক ও আবু হোসেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিজেদের নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে ঘৃণ্য এক ষড়যন্ত্রের নিষ্ঠুরতম নীল নকশার বাস্তবায়ন করে। আর তা হচ্ছে- স্বাধীন বাংলাদেশ ও বাঙ্গালি জাতিকে মেধাশূন্য করা। উদ্দেশ্য যুদ্ধে জয়ী হলেও এই জাতি যেন আর কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।

এই ভয়ানক ষড়যন্ত্রের নীল নকশাটি বাস্তবায়নের জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরকে বেছে নেয়। তারা তাদের দোসর কুখ্যাত রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সহায়তায় বেছে বেছে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিক ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের আলোকিত মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

আলোচনা সভায় বক্তারা, পাকিস্তানি ঘাতক ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনীর সদস্যদেরও বিচার দাবি করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ ইএস)