উন্নয়নে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ

সৈয়দ অদিত, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৯:০৭ | প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৮:০০

অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের কারণে পাকিস্তানের কবল থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করা বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের দিক থেকে দেশটিকে ছাড়িয়ে গেছে। মাথাপিছু আয়, মাথাপিছু উৎপাদন, শিল্পোন্নয়ন, সরকারের স্থিতিশীলতা, জ্বালানি ব্যবহার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং উন্নয়নের বহু সূচকে এখন বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে পাকিস্তান।

বাংলাদেশকে গত কয়েক বছর ধরেই পশ্চিমের অর্থনীতিবিদরা বিশ্বের বিস্ময় বলছেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের টিকে থাকা নিয়ে সংশয়ের কথা বলেছিলেন বিশ্বের বরেণ্য অর্থনীতিবিদরা। তাদের আশঙ্কা ছিল বাংলাদেশ তার বিশাল জনগোষ্ঠীর খাবারের সংস্থানটি করতে পারবে না। কিন্তু তারা যে জনসংখ্যা দেখে এই আশঙ্কার কথা বলেছিলেন, সেই জনসংখ্যা বেড়ে প্রায় আড়াই গুণ হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশকে এদের খাবার যোগাড় করতে কোনো সমস্যাতেই পড়তে হচ্ছে না।

বিশ্বে এখন সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়, মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। ছাগল উৎপাদনেও বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে। আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে আছে সাত নম্বরে।

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের ধানের উৎপাদন তিন গুণেরও বেশি, গম দ্বিগুণ, সবজি পাঁচ গুণ এবং ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে দশ গুণ। দুই যুগ আগেও দেশের অর্ধেক এলাকায় একটি ও বাকি এলাকায় দুটি ফসল হতো। বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে দুটি ফসল হচ্ছে। স্বাধীনতার পর দেশে প্রতি হেক্টর জমিতে দুই টন চাল উৎপাদিত হতো। এখন হেক্টর প্রতি উৎপাদন হচ্ছে চার টনেরও বেশি। তাছাড়া হেক্টরপ্রতি ভুট্টা উৎপাদনে বিশ্বে গড় ৫ দশমিক ১২ টন। বাংলাদেশে এ হার ৬ দশমিক ৯৮ টন। খাদ্যশস্যে প্রতি হেক্টরে ১০ দশমিক ৩৪ টন উৎপাদন করে বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এভাবেই প্রধান খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের পর ১৪ আগস্ট পাকিস্তান এবং ১৫ আগস্ট ভারতের জন্ম। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ববাংলা পড়ে পাকিস্তানে। এই অঞ্চলের মানুষের আন্দোলনের ফলেই মূলত পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা সফল হয়। কিন্তু ২৪ বছরের শাসনে পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব অংশের প্রতি নানা বৈষম্যমূলক আচরণ করতে থাকে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে প্রতিটি সূচকেই পাকিস্তানের পশ্চিম অংশ পূর্ব অংশের চেয়ে হয়ে উঠে সমৃদ্ধ। আর এর প্রতিক্রিয়ায় ফুঁসে উঠে বাঙালিরা। আর ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে অর্জন করে স্বাধীনতা।

এমনিতেই পিছিয়ে থাকা এই অঞ্চলের অবকাঠামো যুদ্ধের সময় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থবির হয়ে পড়ে অর্থনীতি, বিধ্বস্ত হয় সড়ক ও রেল যোগাযোগ, প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ে অর্থনীতির চাকা। এমনকি যুদ্ধ চলাকালে সারাদেশে স্বাভাবিক ফসলও ফলাতে পারেনি কৃষক। দেশের রিজার্ভে ছিল না কোনো টাকা।

এই অবস্থায় যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ আদৌ টিকে থাকতে পারবে না বলেই মত দিয়েছিলেন পশ্চিমা অর্থনীতিবিদরা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার সে সময় বাংলাদেশকে তুলনা করেছিলেন ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র সঙ্গে। তিনি বুঝাতে চেয়েছিলেন, এই ঝুড়িতে যা কিছু দেয়া হবে, তার সবই নিচ দিয়ে পড়ে যাবে।

যুদ্ধ করে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের যাত্রাটাও সমৃন ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সেনা শাসক আর রাজনীতিতে এর কুপ্রভাবের বলয় থেকে এখনও বের হওয়া যায়নি পুরোপুরি। তার সঙ্গে ছিল বহু প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তবে বিরুদ্ধ পরিবেশেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বে আলোচিত এক দেশ। স্বাধীনতার পর শূন্য থেকে শুরু করা বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৩ তম অর্থনৈতিক শক্তি। বাংলাদেশের এই ঘুরে দাঁড়ানোকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ প্যারাডক্স।

পাকিস্তানের পশ্চিম অংশ যেটি ১৯৭১ সালে বাংলার চেয়ে অনেক সমৃদ্ধ ছিল, সেই অংশ এখন পিছিয়ে গেছে। এই পিছিয়ে পড়া আরও বাড়ছে দিনে দিনে। অর্থাৎ বাংলাদেশ যে হারে আগাচ্ছে, পাকিস্তান তাল মেলাতে পারছে না তার সঙ্গে।

দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বে উদাহরণ হয়ে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পর পর দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৭০ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের সবশেষ হিসাবে এটি এখন ২৪.৩ শতাংশ। আর অতি দারিদ্র্যের হার এখন ১২ শতাংশের কিছু বেশি। গত এক দশক ধরে বছরে দুই শতাংশ হারে কমছে দারিদ্র্য।

এই দিক থেকে পাকিস্তান এখন যোজন যোজন দূরত্বে অবস্থান করছে। সে দেশের প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে এখন ৪০ জনই দরিদ্র।

সবশষ জাতিসংঘ মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ থেকে আট ধাপ পেছনে পাকিস্তান। বাংলাদেশের অবস্থান যেখানে ১৩৯ তম, সেখানে পাকিস্তানের অবস্থান ১৪৭।

মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনের দিক দিয়েও এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু জিডিপির পরিমাণ ছিল এক হাজার ৫৩৮ ডলার, পাকিস্তানে সেই জিডিপি এক হাজার ৪৭০ ডলার। একই সাথে বেড়েছে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়ও। পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় এখন এক হাজার ৩৮০ ডলার। সেখানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৬০২ ডলার। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ৩৩ বিলিয়ন ডলার যা পাকিস্তান থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার বেশি।

বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসায় দেশের অর্থনীতিতে বাড়ছে শিল্পের অবদান। এখানেও বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে আছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির শতকরা ২৪ শতাংশ আসে শিল্পখাত থেকে। অথচ বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের ৩০ শতাংশ আসে শিল্পখাত থেকে।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল বেশি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি উল্টো হয়ে গেছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন প্রায় ১৬ কোটি। কিন্তু পাকিস্তানের জনসংখ্যা এখন প্রায় ২০ কোটি। দুই বছর আগে হিসাবে বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৭, পাকিস্তানে এটা ২.২। বাংলাদেশে মা প্রতি সন্তানের গড় সংখ্যা ২.১৪। কিন্তু পাকিস্তানে এই সংখ্যা ৩.৫৫টি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবুল বারাকাত ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তান এ উপমহাদেশে অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল। তবে যুদ্ধে বিশাল পরাজয় ও বিভিন্ন রাজনৈতক সমস্যার কারণে পাকিস্তান আজ বাংলাদেশে থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। যুদ্ধে পরাজয়, রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যা, বিশেষ করে জঙ্গিবাদের কারণে পাকিস্তান বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশের এভাবে এগিয়ে যাওয়ার পেছনে একটি বড় বিষয় কাজ করেছে, সেটি হল অসাম্প্রদায়িকতা। যে দেশে সাম্প্রদায়িকতা যত বেশি সে দেশ ততটা নিচে পড়ে থাকে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক বিধায় বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে এগিয়ে যেতে পেরেছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে অর্থনীতিতে সক্রিয় মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, যা খুবই ইতিবাচক।’

পোশাক রপ্তানির দিক থেকে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। বিশ্বে মোট পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অংশ এখন ৬.৪ শতাংশ। অর্থাৎ বিশ্ববাজারে যতটুকু পোশাক দরকার পড়ে, তার ৬.৪ শতাংশ আসে বাংলাদেশ থেকে। ২০১৬ সালে পোশাক খাত থেকে বাংলাদেশ আয় করেছে ২৮ বিলিয়ন ডলার। সেখানে পাকিস্তানের আয় ছিল ১১ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের পোশাক খাতের আয়ের অর্ধেকেরও কম। এই পোশাক শিল্প বাংলাদেশের নারী কর্মসংস্থানের একটি গুরত্বপূর্ণ উৎসে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশের পোশাক খাতে পুরুষের চেয়ে নারী শ্রমিকই বেশি। পোশাক খাতের ৪০ লাখ শ্রমিকের মধ্যে ২৬ লাখ নারী শ্রমিক আর সেখানে পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যা ১৪ লাখ। বাংলাদেশের প্রতি ১০০ জন প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর মধ্যে ৪৪ জন কোন না কোন পেশায় নিযুক্ত। আর পাকিস্তানে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২৫ জন বিভিন্ন পেশায় আছেন। নারীর কর্মসংস্থানে বাংলাদেশ এক বিরল দৃষ্টান্ত।

বাংলাদেশের নারীদের আয় এখন পাকিস্তান থেকেও বেশি। বাংলাদেশের একজন নারী বছরে গড়ে আয় করেন এক লাখ ৯২ হাজার ৬৯৯ টাকা। সেখানে পাকিস্তানের একজন নারী আয় করেন এক লাখ ২১ হাজার ৩৩৮ টাকা।

পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের মানুষ গড়ে ৬ বছর বেশি বাঁচে। পাকিস্তানের একজন মানুষের গড় আয়ু ৬৬ বছর, সেখানে বাংলাদেশের একজন মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর। প্রতি এক লাখ শিশুর মধ্যে বাংলাদেশে যেখানে ৩১ শিশু মারা যায়, সেখানে পাকিস্তানে এই সংখ্যা ৬৭, অর্থাৎ বাংলাদেশের দ্বিগুণেরও বেশি।

বাংলাদেশকে বলা হতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। বন্যা-ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের নিত্যসঙ্গী। পাকিস্তান সেভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ না হলেও, দেশটিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশ থেকে বেশি। প্রাকৃতিক দুযোর্গের কারণে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে বাংলাদেশে গৃহহীন ৭১ জন। অথচ পাকিস্তানে এই গৃহহীন মানুষের সংখ্যা দুই হাজার ৭৪২ জন বেশি। যা দুর্যোগ মোকাবেলায় দেশটির দুর্বলতাকেই নির্দেশ করে।

মোবাইল ফোনের নিরব বিপ্লব দেখছে বাংলাদেশ। দেশের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৮৪ জনই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। সেখানে পাকিস্তানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতি ১০০ জনে ৬৭ জন। বাংলাদেশ যেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে এগুচ্ছে, সেখানে পাকিস্তানে এমন রূপকল্প অনুপস্থিত।

বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানে শিক্ষায় বিনিয়োগ বেশি। কিন্ত বাংলাদেশ স্বাক্ষরতার হার পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনে স্বাক্ষরতার হার যেখানে শতকরা ৭২ ভাগ, সেখানে পাকিস্তানে স্বাক্ষরতার হার শতকার ৫৯ ভাগ।

শুধু অর্থনীতির এসব হিসাবই নয়। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিক থেকেও পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। দেশটিতে আজ পর্যন্ত কোনো সরকারই তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। দেশটির সরকারের ওপর সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এখনও নানা সমালোচনা আছে। কিন্তু বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৬ বছরের সামরিক শাসনের জঞ্জাল পেরিয়ে এখন একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ১৯৯৬ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনটি সরকার তার পূর্ণ মেয়ার পূরণ করেছে।

এর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথাও তুলতে হয়। বিভিন্ন উগ্রবাদী সংগঠন বা জঙ্গিবাদের থাবায় বিপর্যস্ত পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়শ হয় রক্তাক্ত হামলা। বাংলাদেশেও সম্প্রতি জঙ্গিবাদীরা মাথা তুলে দাঁড়াতে চেষ্টা করলেও তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু পাকিস্তাকে জঙ্গিবাদীদের নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার হয়ে গেছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তাদের ভাবমূর্তি ভালো নয় মোটে।

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ সূচকের কথা বললে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, পাকিস্তানের চেয়ে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স ২০১৭ অনুযায়ী পাকিস্তান বিপজ্জনক রাষ্ট্রের মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ২২ নম্বরে। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ঘটনা না ঘটলে বাংলাদেশের অবস্থান আরো পরে থাকত।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সান্তনু মজুমদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা সামাজিক জায়গা থেকে অনেক এগিয়েছি। পাকিস্তান ৭১ এর পর জাতিগত সংহতি সমস্যার সমাধান তো দূরের কথা এখনো ধারে কাছে যেতে পারেনি। আমরা এসব সমস্যার আশানুরুপ সমাধান করতে না পারলেও পাকিস্তান থেকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পেরেছি। আগামী কয়েক বছর পর দেখা যাবে মিডিয়া পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে ভারত কিংবা অন্যান্য উন্নত রাষ্ট্র এর সাথে বাংলাদেশকে তুলনা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৬ডিসেম্বর/এসও/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :