আতশবাজি আর রঙিন ঝর্ণায় বর্ণিল হাতিরঝিল

প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ২৩:১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিল শনিবার সন্ধ্যার পর বসেছিল রঙের মেলা। রঙিন ঝর্ণা, রঙিন আতশবাজি আর লেজার শোতে বর্ণাঢ্য হয়ে উঠেছিল রাজধানীর এই বিনোদনকেন্দ্রটি। আর এসব আয়োজন উপভোগ করতে ভিড় লেগেছিল বিপুল দর্শনার্থীর।

বিজয় দিবসের ছুটির দিনে দুপুরের পর থে্কে হাতিরঝিলের বিভিন্ন স্থানে লোকসমাগম হতে থাকলেও সন্ধ্যার পর সবার নজর নিবদ্ধ হয় এম্ফিথিয়েটারের দিকে। সেখানেই বসে লেজার শো।

নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত সোয়া আটটার দিকে গানের তালে তালে রঙিন আলোর ঝর্ণার বাহারি নাচনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের প্রাথমিক কার্যক্রম। তবে এই বিলম্বের কষ্ট ভুলিয়ে দেয় ঝিলের মাঝে রঙিন ঝর্ণার খেলা। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলা রঙিন ঝর্ণা যখন পানির ভেতর থেকে মাথা তুলে তখন হাতিরঝিলের দুই পাড়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে দর্শনার্থীরা।

সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য মূল অনুষ্ঠানস্থল অ্যাম্ফিথিয়েটারে বসার ব্যবস্থা ছিল না বলে তারা বাইরে থেকে উপভোগ করে নানা আয়োজন। তবে অনুষ্ঠান উপভোগের জন্য পুলিশ প্লাজা, বাড্ডা চক্রাকার বাস বে সংলগ্ন ফুটপাতে দুটি ও ঝিলের মাঝে ফোয়ারা সংলগ্ন আরো তিনিটি টিভি পর্দার ব্যবস্থা করা হয়। এসব টিভি পর্দায় ভেসে লেজার শো, আতশবাজি, ঝিলের রঙিন ঝর্নার সচল ছবি। 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের এই অনুষ্ঠান শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতাযুদ্ধের খণ্ডচিত্রও প্রদর্শন করার পাশাপাশি বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের চিত্র লেজার শো-এর মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়। একই সঙ্গে আকশজুড়ে চলতে থাকে আতশবাজি। বিকট শব্দে আকাশে উঠে পটপট করে যখন ফুটে আতশবাজি, তখন রঙিন আলোয় ভরে ওঠে আকাশ। তৈরি নানা নকশার আলোর ঝর্ণাধারা।

লেজার শো আর আতশবাজি দেখতে দেখতে অনুষ্ঠান স্থলের আশপাশে হাতিরঝিলের উভয় পাড়েই উপচে পড়া ভিড় তৈরি হয়। গুলশান শুটিং ক্লাবের সংলগ্ন তৈরি হাতিরঝিল অ্যাম্পিথিয়েটারের সাথের সড়কের ফুটপাত জুড়ে জনস্রোত দেখা যায়। ফলে মানুষ ও গাড়ির ভিড়ে মধুবাগ অংশ থেকে হাতিরঝিল উড়াল সড়ক ধরে শুটিং ক্লাব যাওয়ার পথে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৬ ডিসেম্বর/এএকে/মোআ)