রংপুরে ভোটে উৎকণ্ঠা বাড়ছে

রফিকুল ইসলাম রফিক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:০৮ | প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:৩৫
ফাইল ছবি

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২১ ডিসেম্বরের ভোটকে ঘিরে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীদের কারণে। মেয়র প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটলেও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে নিয়মিত।

ভোটের সময় বাকি আর চার দিন। এর মধ্যে নগরে প্রধান প্রশ্ন মেয়র পদে কে জিতবেন? এর মধ্যে কাউন্সিলর প্রার্থীর বিষয়টি গণমাধ্যমে সেভাবে উঠে আসছে না। কিন্তু তাদের কারণেই নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে যত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

এবার ১৯৩ কেন্দ্রে ভোট নেয়া হবে তার মধ্যে ১২৮ কেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নিত করেছে খোদ নির্বাচন কমিশন। এসব কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারি রাখার কথা বলছেন কর্মকর্তারা।

ভোটে সাত মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি লড়াই করছেন ২৭৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। প্রায়ই এই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আর এ কারণে ভোটারদের মধ্যেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন পরিচালনায় জড়িত কর্মকর্তারা বলছেন, ভোট নিয়ে আশঙ্কার কারণ নেই, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভোটের দিন কেন্দ্র ও নিকটবর্তী এলাকায় নিরাপত্তার এই কড়াকড়ি বজায় থাকবে।

গত শনিবার ১৬ ডিসেম্বর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবেদ আলীর নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুনের ঘটনা ঘটে। এজন্য তিনি প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে দুষছেন।

তার দুই দিন আগে বৃহষ্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মনিরুজ্জামান মাসুদ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এজন্য তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাফিজার রহমান তরুকে দায়ী করছেন।

কাউন্সিলর প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোটারদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ করছেন। অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগও করছেন তারা। তবে এ বিষয়ে ভোটারদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কাছে কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি।

নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ড বাবুখা। গত পরশু রাতে সেখানকার এক ভোটারকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই ভোটার এই তথ্য নিশ্চিত করলেও ভয়ে তার নাম প্রকাশ করতে চাননি। একইভাবে নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডেও চলছে হুমকি-ধামকির তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আব্দুল মতিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেবো। কিন্তু এখনই যে হুমকি দেয়া হচ্ছে তাতে আমার সন্দেহ হচ্ছে যে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারব কি না।’

একই কথা বলেন শাহনাজ নামের আরেক ভোটার। তিনি বলেন, ‘প্রতি রাতেই আমাদের বাসায় কিছু মহিলা আসছেন। প্রথমে ভালো ব্যবহার করলেও পরে ভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।’

ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও এসব অভিযোগ যায়নি প্রশাসনের কাছে। জানতে চাইলে সিটির নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সহিংসতার নানা উদাহরণ তুলে ধরা হলে এই নির্বাচনী কর্মকর্তা বলেন, ‘যে সংঘর্ষটি হয়েছে তা ফৌজদারি অপরাধ। সেটি নির্বাচনকেন্দ্রিক কি না তা খোঁজ নিতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৭ডিসেম্বর/আরআর/ডব্লিউবি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :