তৈরি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ডিজিটাল ম্যাপ

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:৩৭

দেশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের লাখো ইতিহাস ও ঘটনাকে এক সুতোয় গাঁথতে মুক্তিযুদ্ধের ওপর সর্ববৃহৎ ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে প্রিয় লিমিটেড। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে রাখার এ উদ্যোগের নাম দেয়া হয়েছে প্রিয় মুক্তি পিন।

ডিসেম্বর জুড়ে দেশের ৬৪ জেলায় সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে ও প্রিয় ডটকমের সরাসরি তত্ত্বাবধানে মুক্তিযুদ্ধের ছোটবড় ঘটনাগুলোকে শনাক্ত করে অজানা ও ক্ষয়িষ্ণু প্রায় ইতিহাসকে দীপ্তিময় করে তোলা হবে।

এসব ঘটনা ও ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা হবে বাংলাদেশের ডিজিটাল মানচিত্রের ওপর। এ ডিজিটাল আর্কাইভ ইতিহাসকে পৌঁছে দেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে, যাতে প্রজন্মান্তরে আমাদের অমূল্য মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রামের ঘটনা হারিয়ে না যায়।

এ ব্যাপারে প্রিয় লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাকারিয়া স্বপন বলেন, সর্বস্তরের বাংলাদেশি নাগরিককে এই উদ্যোগে সংযুক্ত করতে ডিসেম্বর থেকে প্রিয় মুক্তি পিন সফটওয়্যারটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে রাখা হবে। উন্মুক্ত করা হবে মোবাইল অ্যাপ।

জাকারিয়া স্বপন জানান, বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে আগ্রহী যে কেউ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুক্তি পিন ম্যাপের মাধ্যমে প্রকাশ করে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ এই ডিজিটাল আর্কাইভের অংশ হতে পারবেন।

প্রিয়.কমের নিজস্ব বিচারক প্যানেল পিনদাতাদের দেয়া প্রতিটি পিনের সত্যতা নিশ্চিত করবে। সাধারণ মানুষের দেওয়া পিনগুলোর সত্যতা ও যথার্থচা যাচাই করার জন্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান, প্রফেসর ড. কায়কোবাদ, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, ড. গওহর রিজভীর মতো আরও বিশেষ কিছু ব্যাক্তিত্বদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছে প্রিয় লিমিটেড। যারা সঠিক পিন দেবেন তাদের পিনগুলোকে ম্যাপেই ভ্যারিফাই করে দেয়া হবে।

১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্পটি চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মার্চে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক সঠিক মুক্তি পিনদাতাদের মধ্য থেকে প্রথম ১০০ জনের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার ও অন্যান্য সৌজন্য সামগ্রী উপহার দেয়া হবে।

প্রিয় মুক্তি পিন উদ্যোগকে সফল করতে প্রিয়.কমের পক্ষ থেকে ডিসেম্বরজুড়ে দেশের ৬৪টি জেলায় ১৩০টি স্থানে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে নানা ধরনের রোড শো, ক্যা¤িপং, ইভেন্ট পূর্ববর্তী এবং ইভেন্ট পরবর্তী কার্যক্রমসহ নানা প্রচারণা চালানো হবে।

এ উদ্যোগে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ইভেন্ট চলাকালীন ফ্রি ইন্টারনেট সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনাও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

পিন করার প্রক্রিয়া স¤পর্কে বলা হয়েছে, আপনার স্মার্টফোনটিতে প্রিয় অ্যাপটি ডাউনলোড করুন অথবা ব্রাউজার থেকে ঢ়ৎরুড়.পড়স/সঁশঃরঢ়রহ ওয়েব পেজটি ভিজিট করুন। ওয়েব পেজ বা অ্যাপটি লোড হওয়ার পর আপনার সামনে উন্মুক্ত হওয়া স্ক্রিনটিতে পিন করুন নামক বাটনটি ক্লিক করুন। একটি উইন্ডো প্রদর্শিত হবে, সেখানে আপনার প্রাথমিক সব তথ্য (নাম, ফোন নম্বর এবং ইমেইল) দেয়ার পর আপনার পিন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য দিন।

মুক্তিপিনের টাইটেল, ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছবি (এক বা একাধিক ছবি ব্যবহার করা যাবে), ঘটনার বিবরণ, সময়কাল (বাধ্যতামূলক নয়) লিখে সঠিক স্থানটি ম্যাপে সংযুক্ত করে পোস্ট বাটনে ক্লিক করুন। ঘটনা সংশ্লিষ্ট সঠিক জায়গাটি ম্যাপে পিন করার সুবিধার্থে ম্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত সার্চ অপশনে জায়গাটির নাম লিখে এন্টার ক্লিক করুন। এরপর সঠিক জায়গাটি ম্যাপের মধ্য থেকে খুঁজে বের করে পিন করুন। পোস্ট করার পর আপনার পিনটি প্রাথমিকভাবে ম্যাপে সংরক্ষিত হবে। কিছু সময় পর যাচাই-বাছাই (ভেরিফিকেশন) প্রক্রিয়া শেষে আপনার পিনটি আমাদের মুক্তি পিন ম্যাপে স্থায়ীভাবে প্রকাশ করা হবে। পিন প্রদানের জন্য আপনার দেয়া তথ্যগুলো অবশ্যই বাংলায় হতে হবে। এক্ষেত্রে ইউনিকোড কিংবা অভ্র, অংকুর ইত্যাদি ফন্ট ব্যবহার করা যাবে। ঐতিহাসিক জায়গাটির যুদ্ধের সময়কার তৎকালীন ছবি দেয়া বাধ্যতামূলক নয়। বর্তমানে ওই স্থানটি যেমন অবস্থায় আছে, সেই ছবিটিও প্রদান করা যাবে। মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কোনো অবান্তর ঘটনা পিন করা হলে কিংবা পিনকৃত ঘটনাটির সত্যতা না পাওয়া গেলে সেটি তাৎক্ষণিকভাবে ম্যাপ থেকে মুছে ফেলা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৭ডিসেম্বর/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা