‘অন্তর জ্বালা’ ব্যর্থ হলে নতুন ছবি করব না

ইমদাদুল ইসলাম যিকরান
| আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:৫০ | প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৮:১৯

ঢাকাই সিনেমার মাস্টার মেকার খ্যাত নির্মাতা মালেক আফসারী পরিচালিত 'অন্তর জ্বালা' ছবিটি মুক্তি পেয়েছে গত শুক্রবার। সারা দেশের ১৭৫টি সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়া ছবিটি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন জয় চৌধুরী। ছবিটি নিয়ে আশাবাদী জয় বলেছেন, ‘অন্তর জ্বালা’ ব্যর্থ হলে আর কোনো নতুন ছবি করবেন না।

তরুণ এই অভিনেতা এর আগে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ইতিমধ্যে নিজের অবস্থান শক্ত করে নিয়েছেন। ২০১২ সালে প্রবীণ নির্মাতা এফ আই মানিকের পরিচালনায় মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ‘এক জবান’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে জয় চৌধুরীর চলচ্চিত্রে অভিষেক। এরপর ‘ভালোবাসলে দোষ কি তাতে’, ‘আজব প্রেম’, ‘হিটম্যান’, ‘চিনি বিবি’, ‘ক্ষণিকের ভালোবাসা’ নামের ছবিতে কাজ করেন তিনি।

সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘অন্তর জ্বালা’ ও নিজের ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়ে ঢাকাটাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন তরুণ এই চিত্রনায়ক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাকাটাইমসের প্রদায়ক ইমদাদুল ইসলাম যিকরান।

ঢাকাটাইমস: অন্তর জ্বালা’য় যুক্ত হলেন কীভাবে?

জয় চৌধুরী: আমার খুব ইচ্ছা ছিল মালেক আফসারী স্যারের একটা সিনেমায় কাজ করব। সেই সুযোগ এসে যায় জায়েদ ভাইয়ের কল্যাণে। আমি তাকে বড় ভাইয়ের মতো মানি। তিনিও আমাকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করেন। ২০১৩ সালে যখন আমি সিনেমার কাজে আসি তখন মনোয়ার হোসেন ডিপজল সাহেব তার ফুলবাড়িয়ার বাগানবাড়িতে রেখে আমাদের গ্রুমিং করান। সেখান থেকেই জায়েদ ভাই আমাকে পছন্দ করেন। দুজনের একসঙ্গে কাজের ইচ্ছা তখন থেকেই। আর মালেক আফসারী স্যারের সঙ্গে আগে একটা ছবির কথা হলেও সেটি আর করা হয়নি। তো জায়েদ ভাই একদিন আমাকে নক করে একটি ছবির কথা বলেন। তার কাছে সিনেমাটিতে আমার চরিত্রের কথা শুনে ভালো লেগে যায়। এভাবে ফাইনালি ‘অন্তর জ্বালা’য় কাজ করা হলো।

ঢাকাটাইমস: দর্শক সিনেমাটি কেন দেখবে?

জয় চৌধুরী: ‘অন্তর জ্বালা’ হলো একটা পরিবারের ভালোবাসার গল্প। প্রতিটা পরিবারেই দুঃখ কষ্ট ভালোবাসা থাকে, যা কেউ এড়িয়ে যেতে পারে না। এই ছবিতে পরিচালক মালেক আফসারি স্যার একটি পরিবারের গল্প তুলে এনেছেন নিখঁতভাবে। সেখানে ছোট বোন আছে, ভাই আছে; সংসারে আছে নানা টানাপোড়েন। এ ধরনের একটি পরিবারের আমি হলাম মেজ ছেলে। আর জায়েদ ভাই বড় ছেলে। ‘অন্তর জ্বালা’য় দর্শক দেখতে পাবে ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের অকৃত্রিম ভালোবাসার নমুনা।

ঢাকাটাইমস: ছবিটির বেশির ভাগ শুটিং ঢাকার বাইরে হয়েছে বলে জানি। সেখানে সমস্যার সম্মুখিন হয়েছেন এ রকম কোনো ঘটনা বা শুটিং করার সময় মজার কোনো ঘটনা আছে কি?

জয় চৌধুরী: আমরা শুটিংয়ে কাজ করতে গিয়ে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হই। যখন পিরোজপুরে গ্রামের লোকেশনে কাজ করি, লোকাল জায়গা বলে সেখানে অনেক লোকজনের ভিড় হতো। এটা কাজের ক্ষেত্রে অনেক বড় সমস্যা। সেখানে চব্বিশ ঘণ্টা আমাদের সঙ্গে পুলিশ থাকলেও লোকজনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো না। এত ঝামেলার মধ্যেও পিরোজপুরে একটানা ৫২ দিন আমরা শুটিং করি। তারপর ঢাকায় এসে ৬২ দিনের মতো শুটিং করি।

ঢাকাটাইমস: ছবিতে আপনার সহশিল্পীর সঙ্গে রসায়ন কেমন ছিল?

জয় চৌধুরী: আমার বিপরীতে ছিল মৌমিতা। তার সঙ্গে আমার রসায়নটা খুবই ভালো ছিল। সে খুব ভালো অভিনয় করে, ভালো নাচতে পারে। কাজের ব্যাপারেও আন্তরিক ছিল ও।

ঢাকাটাইমস: আপনার আগের কাজ আর অন্তর জ্বালার কাজের মূল্যায়ন কীভাবে করবেন?

জয় চৌধুরী: আমি এর আগে এফ আই মানিক, ওয়াজেদ আলী সুমনের মতো ভালো পরিচালকের সিনেমায় কাজ করেছি। সবার কাছ থেকেই শিখেছি আমি। এবার সবার পরিচিত মাস্টার মেকার পরিচালক মালেক আফসারি স্যারের সিনেমায় কাজ করে অনেক নতুন কিছু শিখেছি। যেমন শুটিংয়ে এক রকম, ডাবিংয়ে আরেক রকম। এই সিনেমায় আমি একটা টার্নিং পয়েন্ট পাব বলে আশা করি।

ঢাকাটাইমস: অন্তর জ্বালা ছবিটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশার জায়গা কতটুকু?

জয় চৌধুরী: বিগত কয়েক বছরে যে কয়টি বাংলা সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তার মধ্যে অন্তর জ্বালা অনেক ভালো হয়েছে। আমার নিজের সিনেমা বলে বলছি না। দর্শক এ ছবিটি ভালোভাবে গ্রহণ করবে বলে আমি মনে করি। আবার এই সিনেমার মাধ্যমেই বোঝা যাবে দর্শক আমাকে চায় কি না। আশা করি 'অন্তর জ্বালা' ব্যবসায়িকভাবে সফল হবে। তা না হলে নতুন কোনো ছবি করব না। যেগুলো সাইন করা আছে সেগুলো শেষ করে তারপর ভাবব।

ঢাকাটাইমস: সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

জয় চৌধুরী: ঢাকাটাইমস ও আপনাকেও ধন্যবাদ।

(ঢাকাটাইমস/১৮ডিসেম্বর/এজেড/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :