নারী সাংসদের মেয়ের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা
বাগেরহাটের নারী আসনের সংসদ সদস্য হেপী বড়ালের মেয়ে অদিতি বড়ালের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। রবিবার রাতে অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। পুলিশ এখনো হামলার ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে পুলিশ জড়িতদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে।
১৬ ডিসেম্বর শহরের আমলাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মহিলা পরিষদ আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান থেকে সন্ধ্যায় শালতলার বাসায় ফেরার পথে স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ হেপী বড়ালের মেয়ে অদিতি বড়ালকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত ছুকিাঘাত করে পালিয়ে যায়।
অদিতি বড়াল ঢাকায় অবস্থিত লন্ডন কলেজ অব স্ট্যাডিজ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এলএলবি সম্পন্ন করে স্নাতকোত্তর করছেন।
বাগেরহাট জেলা আওয়ামীলীগ আওয়ামীলীগ দলীয় এমপির মেয়ের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাতাব উদ্দিন সোমবার দুপুরে এই প্রতিবেদককে বলেন, ২০০০ সালের ২০ আগস্ট নারী সাংসদ হেপী বড়ালের স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা কালিদাস বড়ালকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় দীর্ঘ এক যুগ পরে জড়িতদের কয়েকজনকে আদালত মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজা দেয়। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে খালাস দেয় আদালত। নিম্ন আদালতে তিনি ন্যায় বিচার পাননি দাবি করে রায়ের পর হেপী বড়াল যাবজ্জীবন ও খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। এতে ক্ষুব্দ হয়ে খালাস ও দণ্ডপ্রাপ্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে এমপির পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এই মামলায় অন্যতম মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি আলমগীর সিদ্দিকী বর্তমানে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। গত ২৩ মে আলমগীরের স্ত্রী বাগেরহাটের পারিবারিক আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলার মাধ্যমে তিনি যশোর থেকে বাগেরহাট কারাগারে আসেন। মামলার আসামি আলমগীর সিদ্দিকী আদালতে হাজিরা দিতে এসে বড়াল হত্যা মামলার খালাস ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাথে পরামর্শ করে তার পরিবারকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় পর পর দুইবার তার মেয়ে অদিতি বড়ালের ওপর এই হামলা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন সাংসদ হেপী বড়াল।
ওসি আরও বলেন, আমরা মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করেছি। আমরা মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। এই হামলার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগির তাদের সনাক্ত করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে। এমপির পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে তার বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৭ ডিসেম্বর/জেডএ)