নেপালি ছাত্রীর আত্মহত্যা নিয়ে দুই তথ্য
রাজধানীর ভাটারা থানার পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী নেপালি নাগরিক বিনিশা শাহ কেন আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায়নি। তবে এ ব্যাপারে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, কর্তৃপক্ষের নানা হয়রানির শিকার হয়ে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, ওই ছাত্রী পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করেছিলেন। কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা পড়ায় তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে নেপালি ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি মেডিকেল কলেজটির হোস্টেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বিনিশা শাহ পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজের ২২তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। মঙ্গলবার তার টার্ম-২ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আধাঘণ্টা আগেই খাতা জমা দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যান এবং হোস্টেল কক্ষে গিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বিনিশা শাহর একাধিক সহপাঠী গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, শিক্ষক ও কলেজ কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত চাপেই বিনিশা শাহ আত্মহত্যা করেছেন।
বিনিশাহর এক সহপাঠী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ টার্ম-২ পরীক্ষার আগে প্রবেশপত্র আটকে রেখে দুই লাখ টাকা করে দাবি করে। পরে যার কাছে যেমন পেরেছে টাকার বিনিময়ে প্রবেশপত্র দিয়েছে। এছাড়া কলেজ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করেই টার্ম-২ পরীক্ষা কঠিন করে এবং ফেল করায়। পরে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে কৃতকার্য করানো হয়।
আজও টার্ম-২ পরীক্ষা কঠিন করা হয় এবং আধাঘণ্টা আগেই বিনিশা শাহ পরীক্ষাকেন্দ্র ত্যাগ করতে চাইলে শিক্ষকরা বকাবকি করেন। সহপাঠীদের অভিযোগ, বিনিশা শাহ হয়তো সে ভয়েই আত্মহত্যা করতে পারেন।
তবে এ ব্যাপারে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, মঙ্গলবার তার ট্রার্ম-২ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করলে শিক্ষকরা তাকে ধরে ফেলেন। কিন্তু পরীক্ষা দিতে বারণ করেনি। বিনিশা নিজেই হল থেকে বেরিয়ে যান। হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা আত্মহত্যার সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ক্রাইম সিন ইউনিট তার ঘর থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।
এ ব্যাপারে পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
(ঢাকাটাইমস/১৯ডিসেম্বর/এএ/জেবি)