স্বামীর নির্যাতনে কলেজছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’
ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়ায় মিথিলা খাতুন (২২) নামে অনার্স পড়–য়া এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামীর নির্যাতনে তিনি আত্মহত্যা করেছেন ধারণা পুলিশের। তবে, নিহতের স্বজনদের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে শহরের পাগলাকনাই সড়কস্থ ব্যাপারীপাড়ার জনৈক আমির হোসেন আমুর বাসা থেকে মিথিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মিথিলা ঝিনাইদহ সরকারি কেসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স বাংলা বিভাগের ছাত্রী এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলার সিঙ্গা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে মিথিলার স্বামী জাহিদ পলাতক রয়েছেন। জাহিদ হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভেড়াখালী গ্রামের বিশারত আলীর ছেলে।
মিথিলার মা মাহমুদা খাতুন জানান, এক বছর আগে জাহিদ তার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তারা শহরে বসবাস করে আসছিলো। জাহিদ মিথিলাকে তাদের বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখার জন্য বলেছিলো একটা চাকরি পেলে মিথিলাকে বাড়ি নিয়ে যাবে।
মিথিলার পিতা জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, তারা স্বামী-স্ত্রী একই বাসায় ছিল। রাতে কোন এক সময় নির্যাতনের পর তার মেয়েকে হত্যা করা হতে পারে। মেয়েকে মারধর করে তার কাছে থাকা টাকা, পয়সা ও দামি মোবাইলও জাহিদ নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই মো. আবুল কাসেম বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার ব্যাপারীপার একটি বাসা থেকে মিথিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রথমিকভাবে মনে হচ্ছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। তবে মেয়ের পিতার অভিযোগ থাকায় আমরা মিথিলার লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি।
(ঢাকাটাইমস/১৯ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)