‘নৌকা ছাড়া অন্য মার্কায় উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে না’

প্রকাশ | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:৪৯

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান দোলন বলেছেন, ‘নৌকা মার্কা হচ্ছে উন্নয়নের মার্কা। নৌকা হচ্ছে শেখ মুজিবের মার্কা। নৌকা হচ্ছে শেখ হাসিনার মার্কা। নৌকা মার্কা শান্তির মার্কা। এর বাইরে অন্য কোনো মার্কা দিয়ে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে না। এলাকার উন্নয়ন চাইলে মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মানতে হবে। গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি যে প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাকে বিজয়ী করতে হবে।’

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পবনবেগ মাঝিপাড়া সার্বজনীন রক্ষাচণ্ডী মায়ের মন্দির প্রাঙ্গণে বুধবার বিকালে এক নির্বাচনী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইনামুল হাসানের প্রচারণার অংশ হিসেবে এই সভার আয়োজন করা হয়।

ঢাকাটাইমস সম্পাদক দোলন বলেন, ‘এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নৌকা মার্কা দিয়েছেন। শেখ হাসিনা কে? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। শেখ মুজিব না হলে এই দেশ স্বাধীন হতো? হতো না। আর যদি এই দেশ স্বাধীন না হতো- আমরা যেভাবে এখন সুখে-শান্তিতে বাস করছি বা বসবাস করার স্বপ্ন দেখছি এই স্বপ্নও দেখতে পারতাম না। অতএব এই মার্কার সম্মান রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। একটি কথা মনে রাখবেন- যখন নৌকা মার্কার সরকার ক্ষমতায় থাকে, তখন বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্মানটা নিশ্চিত হয়।’

দলের বিদ্রোহী প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে কৃষকলীগের এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। তারা যখন দলের প্রধান শেখ হাসিনার কাছে মনোনয়ন চাইলেন, নৌকা মার্কা চাইলেন- তখন তারা কিন্তু কাগজে সই দিয়েছেন যে নেত্রী আপনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমরা তা মেনে নেব। নেত্রী মনোনয়ন দিলেন না, তখনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে গেলেন। যিনি বঙ্গবন্ধু কন্যাকে মানেন না, তিনি কি আপনাদের-আমাদের কথা মানবেন? প্রশ্নই ওঠে না। যিনি শেখ হাসিনাকে মানেন না, তিনি আপনাদের-আমাদের যে মানবেন- এটা বিশ্বাস কররেন না। উন্নয়ন করবে সরকার, আর এই সরকারের মার্কা হচ্ছে নৌকা। সেই নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে হবে। আপনাদের প্রতি আবেদন-নিবেদন রইল- নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার সম্মান রক্ষা করুন।’

আলফাডাঙ্গায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এলাকার উন্নয়ন সবার ঊর্ধ্বে। এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করলে জননেত্রী শেখ হাসিনা খুশি হবেন। তিনি খুশি থাকলে আগামীতে এই এলাকার উন্নয়নে আরও দাবি-দাওয়া নিয়ে তার কাছে যাওয়া যাবে। তিনি নিশ্চয়ই আমাদের কথা রাখবেন।’

‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আলফাডাঙ্গাকে নিজের উপজেলা মনে করেন’ উল্লেখ করে দোলন বলেন, ‘২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই- আলফাডাঙ্গায় নৌকার বিকল্প নেই।’

সভায় সাবেক ইউপি সদস্য মুনসুর মোল্যার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদ, বেগম শাহানারা একাডেমির অধ্যক্ষ অমর কুমার বাবু,  সমাজসেবক শেখ মোক্তার হোসেন প্রমুখ।

এতই রাতে গোপালপুর ইউনিয়নের পবনবেগ নিচুপাড়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইনামুল হাসানের প্রচারণায় আরেকটি সভা হয়। ওই সভায় কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আছে বলে এই অঞ্চলের রাস্তা-ঘাটসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা আগের চেয়ে বেশি সরকারি চাকরি পাচ্ছে। এটি অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে।’

গোপালপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ইনামুল হাসানকে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে কিছুই চাই না। শুধু নৌকায় ভোট চাই। নৌকাকে বিজয়ী করতে পারলে জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের সব চাওয়া পূরণ করবেন।’

দোলন বলেন, ‘আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে টিটিসি নির্মাণ কাজ চলছে। এটি সম্ভব হয়েছে- নৌকা মার্কার সরকার ক্ষমতায় আছে বলে। শেখ হাসিনার প্রতি যদি আস্থা থাকে, নৌকার প্রতি যদি আস্থা থাকে- তাহলে ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নৌকায় ভোট চাই। আর কোনো চাওয়া নেই।’

স্থানীয় মুরব্বি মো. শাহাবুদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- সমাজসেবক শেখ মোক্তার হোসেন, মো. শাহাবুল আলম, মো. জামাল মিয়া, রেজাউল করিম প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২১ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)