প্রেমিকের বাইক থেকে পড়ে তরুণী নিহত
যশোরে প্রেমিকের সঙ্গে মোটর সাইকেল চড়তে গিয়ে গড়ে গিয়ে বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন এক তরুণী। তবে তরুণীর পরিবারের অভিযোগ,ওই যুবককে মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত বাসের নিচে ফেলে দিয়েছে।
তবে পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশও বলছে, এটি নিছকই একটি দুর্ঘটনা।
রিমা নামে ওই তরুণী যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের কেরামত আলীর মেয়ে।
কেরামত আলী বলেন, চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের রাব্বির সঙ্গে তার মেয়ের পরিচয় হয়। আজ সকালে রিমা তার সঙ্গে দেখা করবে বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে রিমার মরদেহ দেখতে পান তারা।রিমার স্বজনরা জানান, রাব্বির সঙ্গে বাহাদুরপুর জেস গার্ডেনে বেড়াতে গিয়েছিলেন এই তরুণী। সেখান থেকে রাব্বির মোটরসাইকেলে চেপে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, রিমা চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রাস্তার ওপর পড়ে যান। ওই সময় সাউদিয়া পরিবহনের একটি বাস তাকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুতগতিতে চলে যায়।
দুর্ঘটনায় রিমার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কল্লোলকুমার সাহা সন্ধায় রিমাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রিমার মৃত্যু হয়েছে। বাসের ধাক্কায় তার মাথা ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
রিমার বাবা কেরাতম আলী বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, জেস গার্ডেন পার্ক থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলযোগে রিমা ও রাব্বি শহরের দিকে আসছিল। বাহাদুরপুরে পৌঁছলে রাব্বি তাকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত বাসের সামনে ফেলে দেয়। বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সে ছিটকে পড়ে। ’
তবে রিমার বাবার এই অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানতে চাইলে যশোর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল বাশার মিয়া বলেন, ‘শুনেছি একটি বাস মাগুরার দিকে থেকে আসছিল। বাহাদুরপুর স্কুলের সামনে বাসটি একটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। সে সময় রিমা নামে একটি মেয়ে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে আহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি।’
এদিকে দুর্ঘটনার পর রিমার কথিত প্রেমিক রাব্বিকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় আছেন সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
ঢাকাটাইমস/২২ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি