‘ছোটবেলা থেকেই সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত আছি’

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:৪২

রাইসুল উদ্দিন সৈকত। অল্প বয়সেই নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন সফল সংগঠক হিসেবে। বাবা নিজাম উদ্দিনের মতোই সমাজসেবার আদর্শে বেড়ে উঠেছেন সেই ছোটবেলা থেকেই। প্রতিষ্ঠান আর সংগঠন যেখানেই হাত দিয়েছেন সাফল্য এসে ধরা দিয়েছে তার কাছে। যে সংগঠনেই নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই সংগঠনকেই নিয়ে গেছেন সাফল্যের স্বর্ণশিখরে।

দেশের জন্য মানুষের জন্য ভালো কিছু করার উদ্দেশ্যে দীর্ঘ সময় ধরে যুক্ত আছেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে। সমাজ সেবা ও সংগঠক হিসাবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন ঢাকাটাইমসের কাছে।

সৈকত বলেন, তরুণ বয়সই মানুষের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান, সর্বাধিক কর্মক্ষম সময়। এসময় সঠিকভাবে যে জাতি কাজে লাগিয়েছে তারাই উন্নতির শিখরে পৌঁছে গেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে বিশ্বাসের সঙ্গে কর্মের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। তরুণদের মনে নৈতিকতাবোধে উজ্জীবিত পবিত্র বিশ্বাস জাগাতে হবে। আর তা জাগাতেই গড়ে তুলতে হবে সামাজিক সংগঠন। একটি দেশের সামগ্রিক উন্নতির জন্য যে কয়েকটি বিষয় অন্যতম নিয়ামকের কাজ করে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো তরুণ সমাজ।

এই সংগঠক বলেন, সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে যদি আমাদের তরুণরা দেশ গঠনে এগিয়ে আসে তবে সম্ভব একটি স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে আমাদের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তরুণরাই ছিল চালকের আসনে। এখনো দেশের যেকোনো দুর্যোগে কিংবা কোনো সমস্যায় এগিয়ে আসার মানসিকতা রয়েছে আমাদের তরুণদের। এই জন্য প্রয়োজন শুধু তাদের একত্রিত করা।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজ আজ মাদকের ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত। মাদকের মতো নানা অনাচার ও অপসংস্কৃতির কারণে নৈতিক মূল্যবোধের অকাল যাচ্ছে চারদিকে। এ দেশে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ে সৃষ্ট সংকটের নিরসন করতে তরুণরা গঠনমূলক ও সৃজনশীল কাজে এগিয়ে এলে জাতি হিসেবে আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হবো।

তার মতে, সুস্থ সংস্কৃতিচর্চা ও সংগঠন আমাদের তরুণ সমাজকে বিপদ থেকে ফিরিয়ে আনবে। এই জন্য পরিবার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এই যেমন আমি ছোটবেলা থেকে নিজেকে জড়িত রেখেছি সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে যা এখনো অব্যাহত আছে।

রাইসুল উদ্দিন সৈকত বলেন, প্রশংসা কুড়াতে নয় মন থেকে অনুভব করার জন্যই সামাজিক কাজে জড়িত হয়েছি। বিভিন্ন স্কুল কলেজে সমাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে সমাজ উন্নয়নমূলক নানা কাজে আমি নিজেকে সম্পৃক্ত করি।

তরুণ এই ব্যবসায়ী বলেন, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল চিটাগাং কসমপলিটনের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে আমি তরুণ উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন কাজে উৎসাহ ও সহযোগিতা করেছি। আর্থিকভাবে যারা অসচ্ছল তাদের শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে আলোকিত জীবন গঠন, রক্তদান কর্মসূচি, বৃক্ষরোপণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যার্তদের সাহায্য প্রদান, পরিবেশ সংরক্ষণ ও নারী সুরক্ষা বিষয়ক কাজগুলো আমি সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে করে যাচ্ছি।

(ঢাকাটাইমস/২৩ডিসেম্বর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বন্দর নগরী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা