ভারতে ইমিগ্রেশনে ধীরগতিতে বাংলাদেশি যাত্রীদের দুর্ভোগ

মহসিন মিলন, বেনাপোল প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:৪৯

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোলে ইমিগ্রেশনের কাজের ধীর গতিতে ভারতগামী বাংলাদেশি যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার যাত্রী ভারতে যাচ্ছেন। এরা সবাই দুর্ভোগের স্বীকার হলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন ঢাকার মায়ারানী দাস। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আর পারছি না। একটানা প্রায় তিন ঘণ্টা একই স্থানে দাঁড়িয়ে আছি। লাইনের লোক যে যেখানে ছিল সেখানে আছে।’

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের কর্মীরা জানান, এই পথে প্রতিদিনই যাত্রী বাড়ছে। তবে বাংলাদেশ অংশে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি নেই। বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সারতে ১৬টি ডেস্কে কাজ হয়। ফলে কোনো জটলা বাঁধে না। কিন্তু ওপারে ডেস্ক কম হওয়ায় এবং কাজের গতি থাকে।

সম্প্রতি পেট্রাপোলে ডেস্কের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০ টি করা হলেও বাড়ান হয়নি লোকবল। ঢাকার বাসিন্দা অনিমা ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশ অংশে ইমিগ্রেশনের কাজ সারতে কোনো কষ্ট হয়নি। খুব দ্রুত কাজ হয়ে গেছে। কিন্তু ভারতে ঢোকার অপেক্ষায় চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ইমিগ্রেশনের বাঁশের খাঁচায় আটকা পড়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।’ ‘এতো রাতে পাসপোর্টের কাজ সেরে কোথায় যাব? ভারতীয় চেকপোস্টে রাতে থাকতে হবে মনে হয়।’

চাঁদপুরের হাজিগঞ্জের প্রদীপ কুমার সন্ধ্যার দিকে জানান, স্ত্রী বাচ্চা বোন ও তাদের বাচ্চা নিয়ে দুপুর একটা থেকে ভারতীয় ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এতোদূর থেকে এসে এমনিতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, তার ওপর লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে আরো কাহিল অবস্থা।

ভারতের মধ্যগ্রাম যাচ্ছিলেন প্রদীপের পরিবার। কখন ইমিগ্রেশন থেকে ছাড় পাবেন, রাত আটটায়ও তা বলতে পারছিলেন না তিনি।

এভাবে অপেক্ষা করতে থাকাদের মধ্যে যাদের শারীরিক অবস্থা দুর্বল, তাদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ওয়াশরুমে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় বিশেষ করে নারী যাত্রীদের খুবই সমস্যায় পড়তে হয়।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস তত্ত্বাবধায়ক সুভাষিস বাবু ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কাস্টমস এ কোনো সমস্যা নেই। আমরা শুধু ট্রাভেল ট্যাক্স চেক করে, যাত্রীদের ব্যাগেজ স্ক্যানিং করে সাথে সাথে ছেড়ে দিয়ে থাকি।

বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, আমাদের ইমিগ্রেশনে কোনো সমস্যা নেই। যাত্রীর চাপ বাড়লেও তাদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ১৬টি ডেস্কে দ্রুত কাজ করে যাচ্ছেন অফিসাররা। তবে সমস্যা ওপারে। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই’

ঢাকাটাইমস/২৩ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :